parbattanews

পানছড়ির পাড়াবাসী মিলে নির্মাণ করলো দৃষ্টিনন্দন কালভার্ট

নড়বড়ে ঝুকিপূর্ণ বাঁশের তৈরী সাঁকোর উপর দিয়ে আর নয় এবার বায়তুল হাকিম জামে মসজিদে মুসুল্লীরা নামাজে যাবে কাঠের তৈরী ঝকঝকে কালভার্ট পার হয়ে। সাপ্তাহিক জুমা’সহ নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে নির্ভয়ে পার হয়ে। পাড়াবাসীর অর্থ ও স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মান হয়েছে দৃষ্টিনন্দন এক কাঠের তৈরী কালাভার্ট।

এটি শোভা পাচ্ছে পানছড়ির দক্ষিন টিএন্ডটি টিলা (রহমতপুর) এলাকায়। জানা যায়, এলাকার মানুষের মুষ্ঠির চাউলে নির্মিত হয় রহমতপুরের মসজিদটি। তবে পারাপারের একমাত্র মাধ্যম ছিল নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। শীতের কুয়াশা ভেজা সকালে সাঁকোর বাঁশগুলো পিচ্ছিলের কারণে কোমলমতি শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেনা। অভিভাবকরা তাদের কোমলমতি শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষায় মক্তব্য পাঠাতে ভয়ে অনীহা প্রকাশ করে। তাই দ্বীনি শিক্ষা থেকে কোমলমতি শিশুরা যাতে বঞ্চিত না হয় সে জন্যই এলাকাবাসীর এই মহতী উদ্যেগ। তবে নিজেদের স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরী কালভার্টটি অস্থায়ী।

দীর্ঘ বছর ধরে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কোন সুফল না পেয়ে অস্থায়ী কালভার্টটি নির্মাণ করে। মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ইউছুফ আলী জানান, স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত কালভার্টটি তৈরীতে খরচ হয়ে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার মতো। মসজিদের আশ-পাশ এলাকায় প্রায় ৪০টি পরিবারের বসবাস। এই কালভার্টের উপর দিয়েই অক্ষয় পাড়া, নাপিতা পাড়া, সুপারী বাগানের লোকজনের চলাচল। মুসুল্লী ও সর্বসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে কালভার্ট নির্মানে প্রশাসনের সহায়তা চাওয়া হলেও অদ্যবধি কোন সু-নজরে আসে নাই। তাই নিজেরাই অস্থায়ীভাবে তৈরী করেছি।

Exit mobile version