পানছড়ির পিংকু চাকমার সাথী ফসলের বাম্পার ফলন

fec-image

পানছড়িতে পেয়ারার বাগানে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লাভবান পিংকু চাকমা । খোলা বাজার থেকে তিনি ক্রয় করেছেন মাত্র বিশ টাকার বীজ। শুধু মিষ্টি কুমড়া নয় স্বামী দেবাশীষ চাকমার সাজানো পেয়ারা বাগানের ফাঁকে ফাঁকে নিজ হাতে বপন করেছেন সরিষা, শিম, লাউ ও মুলার বীজ । আর সেই বিশ টাকার বীজ থেকে তিনি আয় করেছেন ষাট হাজার টাকার অধিক।

পানছড়ির সেই ভাগ্যবান গৃহবধুর নাম পিংকু চাকমা। তিনি ৪নং লতিবান ইউপির শুক্র মোহন কার্বারী পাড়ার মৃত ব্রজ হরি চাকমা ও সুধীরবালা চাকমার সন্তান দেবাশীষ চাকমার সহধর্মিনী। সদা হাস্যোজ্জ্বল পিংকুর বাগানে শোভা পাচ্ছে বিশালাকার সাইজের অর্ধশতাধিক মিষ্টি কুমড়া। ডিজিটাল পাল্লায় মাপ দিয়ে দেখা যায় প্রতিটির ওজন গড়ে ২২ থেকে ২৫ কেজি। কয়েকটি হয়েছে ত্রিশ কেজির অধিক। তাছাড়া বিভিন্ন সাউজের কুমড়া রয়েছে শতাধিক।

পিংকু জানায়, কুমড়ার ফুল, শাক, রাইশাক, লাউশাক, শিম বাগানে বসেই বিক্রি করেছেন। তারাবনছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্লুইস গেইটের পাশেই তাঁর বাগানের অবস্থান।

সরেজমিনে বাগানে গিয়ে দেখা মিলে বিশালাকার মিষ্টি কুমড়ার। সাথে দক্ষিনা হাওয়ায় দোল খাচ্ছে সরিষা গাছ। সব মিলিয়ে সাজালো-গোছালো একটি বাগান। ষাট হাজার টাকা বিক্রি ছাড়াও নিজ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর মাঝেও বিলি করেছেন।

পিংকু আরও জানান, পেয়ারা বাগানের ফাঁকে সাথী ফসল করে অনেক লাভবান হয়েছেন। স্বামী দেবাশীষ চাকমা জানান, সাথী ফসল করেও যে লাভবান হওয়া যায় আমার সহধর্মিনীই একটি দৃষ্টান্ত উদাহরণ। বলসুন্দরী, কাশ্মিরী, থাইকুল, গোল্ডেন এইট, থাই ফাইভ জাতের পেয়ারা ও নানান জাতের সবজি দিয়ে সাজানো দেবাশীষ চাকমার একটি পরিপাটি বাগান। বাগানটির সৌন্দর্যে উপভোগে ইতিমধ্যে ছুটে এসেছেন দেশ বরেণ্য কৃষিবিদরা। যা এক নজরেই মন কেড়ে নেয়। এবারে সব মিলিয়ে তিনি বার লক্ষাধিক টাকা কুল ও পেয়েরা বিক্রি করেছেন।

পানছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নাজমুল ইসলাম মজুমদার জানান, পিংকু চাকমা খোলা বাজার থেকে যে বীজ ক্রয় করেছেন সেটা মূলত লোকাল জাত। বাগানে কুমড়া সর্বোচ্চ বত্রিশ কেজি পর্যন্ত হয়েছে বলে তিনি জানান। জৈব সার ব্যবহারের ফলে কৃষাণী ভালো ফলন পেয়েছেন। তাছাড়া এসব কুমড়ার বীজ সংরক্ষণ করলে স্থানীয় কৃষকরাও উপকৃত হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন