parbattanews

পানছড়ির প্রিয়রঞ্জনের আকুতি একখান ঘর

ফাইল ছবি

আমি তো প্রতিবন্ধী মানুষ কোন কাম-কাজ করতে পারিনা। সারাবছর ঘরে বসে বসে খায়। আমার বৌ মানুষের বাড়ি, জমিনে কাজ ও জঙ্গলের লাকড়ি বিক্রি করেই সংসার চালায়। একমাত্র ছেলে এখনো কোন কাজ কর্ম করেনা।

প্রতিবন্ধী ভাতা বছরে নয় হাজার টাকা পাই। এই টাকা দিয়ে সংসারের খরচাদি কোন রকম চলে। অসুখ-বিসুখ হলে মানুষের কাছে হাত পাততে হয়। আমার ঘরটা অনেক পুরনো। চারিদিকে ভাঙ্গা বেড়া নিয়ে চার-পাঁচটি খুটির উপর কোন রকম দাঁড়িয়ে আছে। এবারে বর্ষা মৌসুমের আগে ঘর মেরামত না হলে খুব কষ্ট পাব। তাছাড়া হালকা বাতাসেই ঘরটি উড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটাও সময়ের ব্যাপার মাত্র।

আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একখান ঘর চাই। ঘর পাইলে আমি অনেক আশির্বাদ করবো। ছোট্ট একটা ঘরের মেঝেতে শুয়ে এই কথাগুলো বললেন পানছড়ি উপজেলার উল্টাছড়ি ইউপির কুন্তুরামপাড়া গ্রামের বয়োবৃদ্ধ প্রতিবন্ধী মৃত নলীন্দ্র চাকমার ছেলে প্রিয় রঞ্জন চাকমা(৭২)।

উল্টাছড়ি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সুব্রত চাকমার মাধ্যমে খবর পেয়ে সরেজমিনে গেলে কান্নাজড়িত কন্ঠে প্রিয় রঞ্জন চাকমা তার দুঃখের কথাগুলো তুলে ধরে।

সুব্রত চাকমা জানায়, লোকটি একেবারে অসহায়। ডান হাতটি সম্পুর্ণ বাঁকা যা দিয়ে কাজতো দুরের কথা নিজেই ঠিকমত চলাফেরা করতে পারে। তার বৌ মানুষের কাজ করলেই চুলোতে আগুন জ্বলে না হয় উপোষ। তাই এই অসহায় প্রতিবন্ধীকে সঠিক তদন্ত পূর্বক একটি ঘর প্রদানের জন্য প্রশাসন তথা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

Exit mobile version