পানছড়ির ফাতেমানগরে অবৈধভাবে সেগুন গাছ কাটার অভিযোগ


খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার ফাতেমানগর গ্রামে দিনে-দুপুরে অবৈধভাবে সেগুন গাছ কাটার অভিযোগ এনেছে এক ভুক্তভোগী পরিবার। বাগানটির অবস্থান উপজেলার ২৪৫নং বড় পানছড়ি মৌজায়।
ভুক্তভোগী ফজল আহাম্মদের পরিবার জানায়, আঞ্চলিক দলিল মূলে নগদ টাকায় বাগান ক্রয় করার পরও ফামেতানগর গ্রামের মৃত সইজুদ্দিনের ছেলে শাহআলম দিনে দুপুরে সেগুন গাছগুলো কেটে “স” মিলে দিচ্ছে ।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, ২৪৫নং বড় পানছড়ি মৌজার ৫.০০ একর জায়গার মূল মালিক ৩নং পানছড়ি ইউপির মুসলিম পাড়া গ্রামের মৃত মো: হোসেন। পিতার মৃত্যুর পর ওয়ারিশ সূত্রে বড় সন্তান আবু ছায়েদ বাচ্চু ফাতেমা নগর গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের সন্তান ফজল আহাম্মদের নিকট আঞ্চলিক দলিল মূলে ৯৫ শতক জায়গা বিক্রি করে। কিন্তু বর্তমানে উল্লেখিত জায়গার চৌহদ্দীর দক্ষিণের ঘরে বাস করা সইজুদ্দিনের ছেলে মো: শাহআলম জায়গার মালিকানা দাবী করে গাছ কর্তন করে নিচ্ছে।
জায়গার মূল মালিক মৃত মো: হোসেনের ছেলে মিরাজুল ইসলাম জানান, শাহআলমকে এক সময় মানবিক কারণে জায়গার এক পাশে মাথা গোঁজার ঠাঁই দেয়া হয়েছিল। কিছু দিন না যেতেইে সে পুরো জায়গা নিজের দাবী করে বসে। পরবর্তীতে তৎকালীন উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ ভুইয়া সরেজমিনে এসে মানবিক কারণে কিছু জায়গা দিতে বলায় উক্ত জায়গার দক্ষিণে তাকে কিছু জায়গা দেয়া হয়। তবে সে বিভিন্ন স্থানে ৫.০০ একর জায়গার কাগজ দেখালেও মূলত সে জায়গা অন্যত্র। যা তার কবুলিয়তে স্বাক্ষী দিবে।
ফজল আহাম্মদের বড় ছেলে মো: সালাউদ্দিন জানায়, জায়গাটুকু একবার আবু ছায়েদ বাচ্চু থেকে ক্রয় করা। এর পরও শাহআলম বড় বড় আট-দশটি সেগুন গাছ দিনে-দুপুরে কেটে ফেলেছে। এলাকার মো: রফিকও এই জায়গার মূল মালিক মুসলিমপাড়া গ্রামের মো: আবুল হোসেন বলে জানান।
আবুল হোসেনের মুত্যুর পর ওয়ারীশ সূত্রে ফাতেমানগর গ্রামের ফজল আহাম্মদের নিকট বিক্রি করে। যেখানে এলাকার গন্যমান্য ও ইউপির সদস্যর উপস্থিতিতে আঞ্চলিক দলিলে শাহআলম স্বাক্ষরও করেছে। তাছাড়া সইজুদ্দিনের ছেলে শাহআলম উক্ত জায়গা ও সৃজিত বাগান ফজল আহাম্মদ বংশানুক্রমিকভাবে ভোগ করিলে কোন আপত্তি নাই মর্মে না-দাবী প্রদান করে নগদ ষাট হাজার টাকাও বুঝে নেয়। যার চুক্তিনামার কপি এই প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।
এ ব্যাপারে শাহআলম জানান, এই জায়গা আমার। অনেক জায়গায় বিচার দিয়ে আমি কোন সু-বিচার পাইনি। তবে কিছু জায়গা ফজল আহাম্মদের কাছে বিক্রি করেছি। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে সে জানায়।