পানছড়ির হ্লাম্রার লক্কর-ঝক্কর ঘরে মানবেতর জীবন যাপন

fec-image

পানছড়ির হ্লাম্রা মারমা (৪৫), ষোল ফিট দৈর্ঘ্য আর নয় ফিট প্রস্থের ভাঙ্গা বেড়ার পুরনো ঘরে স্বামী ও দু’সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ঘরের এক কোনে চলে রান্না-বান্নার কাজ।

হ্লাম্রার স্বামীর নাম দুঅংগ্য মারমা। তাদের সংসারে রয়েছে সাইন্দাঅং মারমা নামের তিন বছরের একটি মেয়ে ও ১১ বছর বয়সী ছেলে কংজরী মারমা। কংজরী পড়ে পঞ্চম শ্রেণিতে। দুঅংগ্য মারমা একজন কাঠ মিস্ত্রী শ্রমিক

হ্লাম্রা জানায়, মনে বড় আশা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের আশায় তিন তিনবার আবেদন করেছি। কিন্তু আমি ভূমিহীন ও গৃহহীন হওয়া সত্ত্বেও ঘর দেয়া তো দূরের কথা কেউ একটিবার দেখতেও আসেনি। তাই আশা ছেড়ে দিয়েছি।

হ্লাম্রা আরো জানায়, জন্মের পর থেকেই নানা-নানীর আদর যত্নে বেড়ে উঠেছি। নানা থৈলাজাই বার-তের বছর পূর্বে দুঅংগ্য মারমার সাথে বিয়ে দিয়ে চৌধুরী পাড়াস্থ খাস জায়গায় ছোট্ট একটি ঘর তুলে দেয়। সেই লক্কর-ঝক্কর ঘরটিতেই য়ুগ পার করেছে। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর না পেয়ে সে হতাশ। তার প্রশ্ন আর কতো গরীব ও নিরীহ হলে প্রশাসন ঘর দেয়।

প্রতিবেশী ক্যপ্রুচাই মারমা ও কনিকা মারমা জানায়, ছোট বেলায় আসমানীর গল্প শুনেছিলাম। কিন্তু আমাদের পাড়ায়ও হ্লাম্রা নামের একজন আসমানী রয়েছে। অসহায় হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের তালিকার প্রথম কাতারেই স্থান করে নিতো হ্লাম্রা মারমা । এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনার কথা জানালেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিরুল বশর জানান, ‌‘মহিলাটা খুবই অসহায়। তার আবেদন নিয়ে আমি নিজেই জমা দিয়েছি। ভূমিহীন ও গৃহহীন এই মহিলা বছরের পর বছর ধরে ছোট্ট একটি ঘরে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। তার প্রতি সু-নজর দিতে তিনিও প্রশাসনের প্রতি সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।’

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন