পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কে তরুণ চালকে হচ্ছে করুণ মৃত্যু

fec-image

পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কে দুর্ঘটনাটা যেন নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার। প্রতিনিয়তই শুনা যাচ্ছে স্বজন হারাদের আর্তচিৎকার। পরিবেশ হচ্ছে ভারী বাবা-মায়ের বুক ফাটা কান্নায়। পাড়ায় পাড়ায় বইছে কান্নার রোল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব নিয়ে প্রতিনিয়তই বইছে নিন্দার ঝড়। সবার মুখে একটাই সুর তরুণ চালকের হাতে হচ্ছে করুণ মৃত্যু।

এ সড়কের প্রায়ই মোটরসাইকেল, অটোরিক্সা, মাহেন্দ্র ও সিএনজিতে চালকের আসনে দেখা যায় তরুণদের। লাইসেন্সতো দূরের কথা নাবালকদের গাড়ি চালানো বিমান গতিকে হার মানায়।

বিগত কিছুদির পূর্বে ফাতেমানগর এলাকায় পানছড়ি বার আউলিয়া বেকারীর মালামাল বহনকারী ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা উল্টে একজন মারা যায়। অটোরিক্সার চালক ছিলো দু’জন। দুজনের বয়স ছিলো চৌদ্দের নীচে। বেঁচে যাওয়া মমিনুল ইসলাম জুয়েল তার বয়স চৌদ্দ তা নিশ্চিত করেন।

এবারের ঈদের দিনে পর্যটন স্পট মায়াবিনী যাওয়ার পথে অটোরিক্সা ও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় নাইম। তার বয়স তের। মোটরসাইকেল চালকের বয়সও তের কি চৌদ্দ, তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

জানা যায়, তের বছর বয়সী ছেলের হাতে ঈদের দিনে অটোরিক্সার চাবি তুলে দেয় তার বাবা নিজেই। তাছাড়া অভিভাবক পিছনে বসে থাকে ছোট ছোট কোমলমতিরা দিব্যি আরামে মোটরসাইকেল, অটোরিক্সা চালনোর দৃশ্য প্রায়ই নজরে পড়ে। পানছড়ি উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ও বর্তমান বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিখিল চৌধুরীসহ অনেকেই ফেসবুক আইডি থেকে এই মৃত্যুর মিছিল থামাতে অভিভাবক ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।

আঠার বছরের নীচে কাউকে চালকের আসনে যাতে আর দেখা না যায় সে ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

পানছড়ি থানার ওসি মোহাম্মদ দুলাল হোসেন জানান, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রত্যন্ত এলাকায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক অনেকেই মোটরসাইকেল, অটোরিক্সা চালাচ্ছে। ফলে তারা নিজের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনছে। এ ব্যাপারে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং তৎপর রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন