পানছড়ি প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় ভ্রমনভাতা সচল, কর্মস্থলে উপস্থিতি অচল

fec-image

পানছড়ির সাবেক প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো মিজানুর রহমান মন চাইলে মাসে একবার অফিস করতেন পানছড়িস্থ কার্যালয়ে। অনেক সময় দুই মাসেও তিনি কর্মস্থলে আসতেন না। বিভিন্ন জাতীয় দিবসে অনুপস্থিত থাকলেও তার কিছুই আসত যেত না। দাপুটে এই কর্মকর্তার ছিলনা কোন জবাবদিহিতা। বিগত ২০১৬ সালে ২১ জুন তিনি অত্রাফিসে যোগ দিয়ে ২০১৯ সালের ১৫ মে তারিখে বদলী হন অন্যত্র। এর মাঝে মাসে একবার অফিস করেও তিনি সচল রেখেছেন তার (ভ্রমনভাতা) টিএ বিলের চাকা।

জানা যায়, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে তিনি ভ্রমনভাতা তুলেছেন ৮৩,৫৫০/-আর ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ৯৭,৭৫০/- টাকা। সরকার বিভিন্ন দপ্তরে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার কথা বার্তা বললেও এই প্রভাবশালী কর্মকর্তা ছিলেন দুর্নীতির প্রথম সারির কাতারে। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলায় যোগদান করেছে বলে অফিস সূত্রে জানা যায়।

পানছড়ি হিসাব রক্ষণ অফিস সূত্রে জানা যায়, উর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্বাক্ষর দেখেই বিল প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: শেখ আবদুল মান্নান জানান, আমি যখন গিয়েছি তাকে কর্মস্থলে পেয়েছি। এদিকে ডা: মিজানুর রহমান বদলীর পর শুচয়ন চৌধুরীকে পানছড়ি উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের আদেশ প্রদান করা হয়। কিন্তু পানছড়িতে যোগদানের আগেই তিনি তা বাতিল করে নিজের সুবিধামতো জায়গা মানিকছড়িতে যোগদান করেন। এক কর্মস্থলে যোগদানের আগেই সরকারের দেয়া আদেশ অমান্য করে অন্যত্র যোগদান করে তিনিও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেখিয়েছেন বৃদ্ধাঙ্গুলী।

জেলা কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রনালয় থেকে বদলীর আদেশ নিয়ে আসলে জেলা কর্মকর্তাদের কিছুই করার থাকেনা। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে সরকার প্রতিটি উপজেলায় গরু, ছাগল, হাস-মুরগী পালনের উপর জোর দিয়েছেন।

ইতিমধ্যে একটি বাড়ি, একটি খামার প্রকল্পের মাধ্যমে এসব প্রদানও করেছেন। তাছাড়া খেটে খাওয়া এই উপজেলার প্রায় প্রতিটি পরিবারে গৃহপালিত পশু পালন করে থাকে। কিন্তু এসবের চিকিৎসার জন্য একজন ভালো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার যদি না থাকে আবার কেউ যদি যোগদানের আগেই অন্যত্র বদলী নেয় তাহলে সরকারের উন্নয়নের ধারা বাধাগ্রস্থ হবে। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে ভুক্তভোগিরা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন