parbattanews

পানছড়ি ৩ বিজিবি’তে অতিথি পাখির অভয়ারণ্য

শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে যখন হাজির ভোরের শিশির ঠিক তখনি পানছড়ি লোগাং জোন ৩ বিজিবি’তে আগমন ঘটে অতিথি পাখির। তীব্র শীতের ছোবল থেকে বাঁচতে তারা মাইলের পর মাইল ছুটে এসে এখানে গড়ে তোলে অভয়ারণ্য। ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসা অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠে লোগাং জোন সদর দপ্তর, হাসান নগর, কলাবাগান ও পাাইলট ফার্ম এলাকা।

আগত অতিথিদের মাঝে রয়েছে পানকৌড়ি আর সাদা বকসহ বাহারী রঙের নানান জাতের পাখি। সবুজ প্রাকৃতির বুকে পাখির ডানা ঝাপটানো শব্দ আর কিচির-মিচির ডাকে সকাল-সন্ধা মুখরিত থাকে লোগাং জোন সদর দপ্তর। এসব পাখির আগমনে পানছড়ি উপজেলার বিভিন্ন জলাশয়ের সৌন্দর্য বেড়ে দাঁড়ায় বহুগুন।

প্রকৃতির নতুন রুপ আর পাখিদের বিচরণ আকৃষ্ট করছে উপজেলার শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কৃষক, জেলে ও দর্শনার্থীদের। প্রতিদিন সাত সকালে দল বেঁধে তারা ছুটে চলে খাবারের খোঁজে আর মুক্ত মনে ডানা মেলে উড়ে বেড়ায় খোলা আকাশে। বিভিন্ন জলাশয়, পুকুর, ডোবা আর চেংগী নদীতে ভেসে বেড়ায় কালো রংয়ের পানকৌড়ি। মাছের সন্ধানে পানিতে ডুব মেরে শিকার শেষ করে উপরে ভেসে উঠার দৃশ্যটাই যেন নজর কাড়া।

অতিথিদের কিচির-মিচির শব্দে মোটেই বিরক্ত নয় বিজিবি’র সদস্যরা। কিছু কিছু শালিকও আশে-পাশে ঘুরে বেড়ায় আনমনে। তবে সন্ধা লগ্নেই দেখা মিলে নয়নাভিরাম দৃশ্য। অচিনপুর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে এসে কিছুক্ষণ উড়ে বেড়ায় বিজিবি সংলগ্ন আকাশে। খোলা আকাশে কয়েক চক্কর মেরে বসে পড়ে বড়ো বড়ো গাছগুলোর মগডালে। তখন সাদা বক আর কালো পানকৌড়ির মিশ্রণে গাছগুলোও সেজে উঠে অনাবিল সৌন্দর্যে।

হাসান নগর গ্রামের আবদুর রহমান খোকন ও শিক্ষার্থী মেহেদি বলেন, আমরা প্রতিদিন পাখিদের আনা-গোনা ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বেড়ানো আর কলকাকলি দারুণভাবে উপভোগ করি। পাখিদের অবস্থান লোগাং জোন সদর দপ্তরে থাকার কারণে তারা নিরাপদে আছে আর তাই শীত মৌসুমে তারা আবার অতিথি হয়ে ফিরে আসে আপনালয়ে।

Exit mobile version