parbattanews

পানি নিঃস্কাশনের ব্যবস্থা ও গণ-শৌচাগার না থাকায় মানিকছড়ির হাট-বাজারে হ-য-ব-র-ল অবস্থা

মানিকছড়ি উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, গণ-শৌচাগার, ডাস্টবিন না থাকায় বর্ষাকালে বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার চলাচল দায়! গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে বাজারে জমে থাকা পানি ও কাদায় একাকার হয়ে বীজতলা রুপ ধারণ করেছে!

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা তথা জেলার ঐতিহ্যবাহী মানিকছড়ি রাজবাজার, তিনটহরী বাজারে কাচা তরু-তরকারী ও ফল-মূল বেচা-বিক্রির মহাসমাবেশ ঘটে।

প্রতিদিন এ বাজারগুলোতে কয়েক হাজার ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মূখরিত থাকে। আর এসব বাজারগুলো ইজারা দিয়ে বাজার ফান্ড প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব নিলেও সিকি পরিমাণ উন্নয়নও না হওয়ায় জনমনে বাজার ফান্ডের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠছে!

১৪ জুলাই তিনটহরী বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পুরো বাজারে পানি ও কাদায় থৈথৈ করছে! দেখে মনে হচ্ছে কেউ যেন আমন ধানের বীজতলা প্রস্তুত করে রেখেছে!

এ সময় বাজার ব্যবসায়ী মো. শাহ আলম খান দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, এই যদি হয় জেলার প্রসিদ্ধ বাজারের দৃশ্য! তাহলে অতি সহজেই অনুমান করা যায় বাজার ফান্ড ইজারার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব নিলেও বাজার উন্নয়নে কী করছে! নামে মাত্র একটি ড্রেন থাকলেও পুরো বাজারের পানি নিঃস্কাশনে তা অপ্রতুল।

এছাড়া ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্ধারিত জায়গা না থাকায় যত্র-তত্র ময়লা ফেলা হচ্ছে এবং বাজারে সমবেত পাইকার ও বিক্রেতার জমায়েত অনুযায়ী গণ-শৌচাগারও নেই! ফলে অবর্ণণীয় দূর্ভোগে আছে বাজার ব্যবসায়ীরা।

বাজার কমিটির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম সরকার এ প্রসঙ্গে বলেন, বাজারে পরিকল্পিত উন্নয়ন নিয়ে উপজেলা নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে জেলা পরিষদে যোগাযোগ করেও আশানুরুপ সাফল্য পাচ্ছি না।

উপজেলা শত বছরের পুরানো রাজ বাজারটিতে একই সমস্যা ঘুরপাক খাচ্ছে! বাজারের দু’ সহাস্রাধিক নিয়মিত দোকানদারের পাশাপাশি বাজারে আসা হাজার হাজার ক্রেতা গণের নূন্যতম সুযোগ-সুবিধা নেই।

দু’কক্ষ বিশিষ্ট একটি পুরানো গণ-শৌচাগার ব্যবহার অনুপযোগী। নতুন নির্মিত গণ-শৌচারগারটি কেন্দ্রীয় মসজিদ মাঠে হওয়ার কারণে সেখানে মুসলিম ব্যতিত অন্য লোকজন ধর্মীয় পবিত্রতা বিবেচনায় অনায়াসে যাতায়াত না করায় জন-দূর্ভোগ সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

এছাড়া পুরো বাজারের ময়লা-আর্বজনা ফেলার স্থায়ী কোন ডাস্টবিন নেই! ফলে বাজার এবং পার্শ্বস্থ আবাসিক এলাকার ময়লা-আর্বজনা যেখানে-সেখানে ফেলা হচ্ছে! এতে পরিবেশ মাত্রাতিরিক্ত হারে দুষিত হয়ে পড়েছে।

একাধিক বার উপজেলা পরিষদ মাসিক সভায় এই বাজারের নানাবিধ সমস্যা নিয়ে আলোচনা হলেও জায়গার অভাবে কোন সমাধান হচ্ছেনা।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ বলেন, মানিকছড়ি বাজারে ড্রেনেজ, গণ-শৌচাগার ও ডাস্টবিন নির্মাণে সরকারি জায়গা(খাস জায়গা) পরিচিহ্নিত করার জন্য কমিটিকে এবং ভাইস চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বাবুলকে বলা হয়েছে বহুবার।

কিন্তু ফলাফল শুন্য! যেহেতু খাস জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না, তাই এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। জায়গা হলে বাজার ফান্ড কিংবা উপজেলা পরিষদ ক্রেতা-বিক্রেতার প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে।

Exit mobile version