প্রেসবিজ্ঞপ্তি:
একাদশ জাতীয় সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের প্রতিনিধি না থাকায় সংরক্ষিত মহিলা কোটায় একজন বাঙালিকে এমপি করার দাবি জানিয়েছে পার্বত্য অধিকার ফোরাম।
মঙ্গলবার(৮ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
বিবৃতিতে সংগঠটির পক্ষ থেকে বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পার্বত্য চট্টগ্রামে যে তিন জন’কে এমপি নমিনেশন দেওয়া হয় তিন জনই উপজাতীয় প্রার্থী।
৫১ শতাংশ বাঙালিদের প্রতিনিধি হিসেবে ক্ষমতার সম-বন্টনের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার একজন বাঙালিকে মনোনয়ন দিলে আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক উন্নয়নের শ্লোগানে পাহাড়ের বাঙালিরা এমপি বানাতে পারত। তবুও আমরা উন্নয়নের পক্ষে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তকে সাদরে গ্রহণ করে ঐ প্রার্থীকে ভোট দিয়েছি। তাই আমাদের দাবি সংরক্ষিত মহিলা কোটায় একজন বাঙালিকে সংসদ সদস্য করা হোক।
পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো: মাঈন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি সিদ্ধান্তই জাতীয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। তাই সারা দেশের ন্যায় পার্বত্য চটগ্রামকে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর সুদূর প্রসারী উদ্দ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য ২০১৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার বিজয় আমাদের বহুল আকাঙ্খিত ছিল। প্রধানমন্ত্রীর ঐতিহাসিক বিজয়ে আমরাই বেশি আনন্দিত। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি-১৯৯৭ স্বাক্ষর করার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন পাহাড়ি বাঙালি সকলের সম প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবেন। দশম জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টির ফলে সংরক্ষিত মহিলা কোটায় একজন এমপি হয়েছিলেন। তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞতা জানান পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো: মাঈন উদ্দীন ।
এরই ধারাবাহিকতায় একাদশ জাতীয় সংসদেও পাহাড়ের ৫১ শতাংশ বাঙালিদের দাবি সংরক্ষিত মহিলা কোটায় একজন বাঙালিকে এমপি করে সংসদে বাঙালিদের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।