“ ৮টি এলাকার সমন্বয়ে এবারের ঈদ উদযাপিত হবে”

পার্বত্য অঞ্চলের সর্ববৃহৎ ঈদ জামায়াতের জন্য প্রস্তুত কাউখালী

fec-image

 

তিন পার্বত্য জেলার সর্ববৃৎ ঈদ জামায়াত আয়োজনকে ঘিরে রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই উপজেলা পরিষদের বিশাল মাঠজুড়ে তৈরি হওয়া প্যান্ডেলের কাজ শেষ হয়েছে।

১৯৮১ সাল থেকে প্রায় ৬ বছর অত্র এলাকার মুসলমানরা সব এলাকা মিলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ঈদ জামায়াত আয়োজন করলেও আলেমদের মতানৈক্যের কারণে তা ভেঙ্গে যায়।

দীর্ঘ সময় বিচ্ছিন্ন থাকার পর ২০১৬ সালে এটিকে পুনরায় একত্রিকরনের উদ্যোগ নেন কাউখালীর তৎকালীন ইউএনও আফিয়া আখতার। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক ও সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সহযোগিতায় আলেম ওলামাদের সাথে একাধিক বৈঠকের পর অবশেষে সবাইকে একত্র করতে সক্ষম হন।

প্রথম অবস্থায় ছয়টি এলাকা নিয়ে আরম্ভ হলেও দিন যতই গড়াচ্ছে এর সাথে যুক্ত হতে থাকে নতুন নতুন এলাকা। ফলে প্রতি ঈদে প্যান্ডেলের আয়তনও বৃদ্ধি করতে হচ্ছে আয়োজকদের।

২০১৯ সালে এসে আরো দুটিসহ মোট ৮টি এলাকার সমন্বয়ে এবারের ঈদ উদযাপিত হবে। তৈরি করা হয়েছে প্রায় পঁয়ত্রিশ হাজার বর্গফুটের বিশাল প্যান্ডেল। ব্যয়বহুল আয়োজনের সত্তর ভাগ খরচ বহন করে আসছে এলাকার মানুষ। অবশিষ্ট খরচ বহন করে থাকে কাউখালী উপজেলা প্রশাসন। এবার অন্তত ১০ হাজার মানুষ ঈদ জামায়তে অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করছেন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল হক মাহবুব।

বিশাল ঈদ জামায়াত ঘিরে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্যান্ডেলের নিরাপত্তায় পুলিশ, ভিডিপি সদস্যদের পাশাপাশি থাকবে সেনাবাহিনীও। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে পুরো মাঠ তল্লাশি করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শতরূপা তালুকদার। তিনি জানান, মুসল্লীদের নিরাপত্তার স্বার্থে যা যা করা দরকার সবই করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ঈদগাহ, কাউখালী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন