পার্বত্য আলীকদমের দুর্গম উপজাতি এলাকায় শিক্ষার আলো জ্বালাতে সপ্তশীষ মডেল একাডেমির উদ্বোধন

fec-image

পার্বত্য বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলার কুরুকপাতা ইউনিয়নের অতি দুর্গম পাহাড়ি জনপদ পৌয়ামুহুরীর উপজাতি জনগোষ্ঠীর মাঝে শিক্ষার আলো জ্বালাতে পৌয়ামুহুরী সপ্তশীষ মডেল একাডেমি নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন হয়েছে ।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় নবপ্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয় মাঠে প্রতিষ্ঠতা কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাহ মডেল হাসপাতাল ব্যাবস্থাপক, বিশিষ্ট দাঈ ডা: ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে নওমুসলিম আবদুল্লাহ মুরংয়ের কোরান তেলাওয়াত ও নওমুসলিম সাইফুল ইসলাম ত্রিপুরার স্বাগত সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সুচনা হয়।

বিদ্যালয়ের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি পার্বত্য আলীকদম উপজেলা পরিষদের বারবার নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান জননেতা আবুল কালাম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: রফিক উদ্দীন,ঈদগাঁও উপজেলা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন আল্ নোমান,ঈদগাঁও আদর্শ সাংবাদিক পরিষদ সভাপতি আনোয়ার হোছাইন, দাঈ মওলানা মো: আবদুল্লাহ আল মামুন, উপজাতি নেতা কছং মুরং কারবারি, দোভাষি ত্রিপুরা কারবারি, নওমুসলিম মাষ্টার কামাল হোসেন মুরং ও বিকাশ মুরং প্রমুখ।

অনুষ্টান পরিচালনায় ছিলেন নওমুসলিম মো: হেলাল উদ্দিন ত্রিপুরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, সুদুর কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা থেকে এসে ডা: মো. ইউসুফ আলী পার্বত্য উপজেলা আলীকদমের মায়ানমার সীমান্তবর্তী অতি দুর্গম পাহাড়ি উপজতি জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত পৌয়ামুহুরী এলাকার শিক্ষার আলো বঞ্চিত পাহাড়ি উপজাতি জনগোষ্ঠীর শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো জ্বালাতে যে সাহসী উদ্যোগ নিয়েছেন উপস্থিত নারী -পুরুষ উপজাতি অভিভাবকদের তা মুল্যায়ন করার আহবান জানান।

নবপ্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়কে আগামীতে উচ্চতর প্রতিষ্টানে রুপান্তরে সহযোগিতার হাত অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান। তিনি উপস্থিত উপজাতি জনগোষ্ঠীকে কোন প্রকার অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে প্রত্যেকের সন্তানদের অত্র প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে দেয়ার আহ্বান জানান।

অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ডা:ইউসুফ আলী বলেন, উপজাতি শিশুদের বাসস্থান দুর্গম বিচ্ছিন্ন পাহাড়ি এলাকায় হওয়ার কারণে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সম্পুর্ণ বিনামুল্যে থাকা খাওয়াসহ আবাসিক ব্যবস্থা রয়েছে। আগামীতে অত্র উপজাতি এলাকায় বিনামুল্যে ঔষধসহ মেডিক্যাল ক্যাম্প পরিচালনা করা হবে বলে সভাপতির বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
তিনি বিদ্যালয়ের পাশাপাশি মুসলমানদের জন্য একটি মসজিদও প্রতিষ্ঠা করেন। অনুষ্ঠানে দুর্গম পাহাড়ি উপজাতির শতাধিক নারী-পুরুষ অভিভাবক তাদের শিশু সন্তানদের নিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশ গ্রহণ করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন