parbattanews

পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগো্ষ্ঠীর লোকদেরও আয়করের আওতায় আনা উচিত- জেলা প্রশাসক খাগড়াছড়ি

received_932276906916070

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকদের আয়করের আওতায় আনা উচিত মন্তব্য করে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘হিল ট্রাক্টস ম্যানুয়েল ১৯০০’ আইনে পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীদের আয়কর মওকুফ করা হয়। ১১৬ বছরে পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীর আত্মসামাজিক অবস্থার যেমন উন্নয়ন হয়েছে তেমন করে তাদের আয়ও বেড়েছে বহুগুণে। তাই পাহাড়ীদেরও আয়কর দেয়া উচিত।

তিনি বলেন, পাহাড়ীদের আয়কর রেয়াত সুবিধা থাকায় এখানে বসবাসকারী বাঙালী ঠিকাদাররাও পাহাড়ী ঠিকাদারদের নামে লাইসেন্স ক্রয় করে ব্যবসা করছেন। এতে তাদেরও আয়কর দিতে হচ্ছে না। আর এভাবে রাষ্ট্র বিপুল ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। তাই পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীদের আয়করের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন জেলা প্রশাসক।

২ অক্টোবর বুধবার খাগড়াছড়ি পৌরসভা মিলনায়তনে ২দিনব্যাপী আয়কর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান এ কথা বলেন।

চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-৩ এর যুগ্ম কর কমিশনার ফরিদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মজিদ আলী, খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম, জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক সুদর্শন দত্ত প্রমুখ। দু’দিন ব্যাপী আয়কর মেলার প্রথম দিনে খাগড়াছড়ি জেলার ব্যবসায়ী, ঠিকাদার, চাকরীজীবীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় করেন।

এ সময় চট্রগ্রাম কর অঞ্চল-৩ এর যুগ্ন-কমিশনার  ফরিদ আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী, পৌর মেয়র রফিকুল আলম, চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক সুদর্শন দত্ত প্রমূখ । আয়কর দিয়ে দেশের উন্নয়নের অংশীদার হতে সকলকে অনুরোধ জানিয়ে খাগড়াছড়ি চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক সুদর্শন দত্ত বলেন, আমাদের এ অঞ্চলে কর বৈষম্য হচ্ছে। একই সাথে ব্যবসা করে একজন কর দেন অার অন্যকে কর দিতে হয়না।

মেলার উদ্বোধন শেষে চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-৩ এর সহকারি কমিশনার জোবায়ের আহম্মদের হাতে ব্যাক্তিগত আয়কর রিটার্ন তুলে দেন পৌর মেয়র রফিকুল আলম।

Exit mobile version