parbattanews

পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ

পিবিসিপি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের সিধান্তের প্রতিবা এবং ক্ষোভ জানিয়ে গণমাধ্যমে এক বিবৃতি পাঠিয়েছে পার্বত্য রাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ।বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেনের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে সংগঠটির সভাপতি শাহাদাৎ ফরাজী সাকিব বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অখণ্ডতা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। উপজাতিদের জীবমান উন্নয়ন ও পার্বত্য এলাকায় বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে অসম্প্রদায়িক ভ্রাতৃত্যবোধ সৃষ্টিতে সেনাবাহিনীর অবদান অতুলনিয়। অন্যদিকে স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে বিভিন্ন সময়ে উপজাতি সন্ত্রসীদের দ্বারা হত্যা, খুন, গুম, অপহারণ, নারী ধষর্ণের হাত থেকে বর্তমান সময়ে সেনাবাহিনীর কল্যাণে অত্র অঞ্চলের সাধারণ মানুষ পূর্বের চেয়ে অনেকটাই নিরাপদ।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাহারের দুর্গম এলাকাতে রাস্তা ঘাট, সেতু, কালবার্ড নির্মাণ করে যোগাগো ব্যবস্থা সহয করেছে। পশ্চাৎ উপজাতিদের জীবনমান উন্নয়ন, শিক্ষা, বাসস্থানসহ আধুনিক চাষাবাদের বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটার পেছনে এক অবদান এই সেনাবাহিনীর। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালিদের এখনো ঘুমভাঙ্গে উপজাতি সন্ত্রাসীদের গুলি ও অস্ত্রের ঝনঝনানি শব্দে।

তিনি বলেন, এমতাবস্থায় পার্বত্য অঞ্চলে থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করলে অত্র অঞ্চলে উপজাতীয় সন্ত্রাসী ছাড়াও উপমহাদেশের সেভেন সিস্টারের অভয় আরণ্য হবে। সেই সাথে সকল সন্ত্রাসীদের নিরাপদ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পরিণত হবে আমাদের এই মাতৃভূমি।

পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালিরা সু-প্রাচীন কাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে। এই অঞ্চলের মাটির প্রত্যেকটি কনার গাঁয়ে মিশে আছে বাঙালিদের চোখের জ্বল, ত্যাগ, রক্ত, শ্রম, ঘাম। অত্র অঞ্চলে সমাহিত রয়েছে বাঙালিদে পূর্বপুরুষ। মাতৃভূমি রক্ষায় অসংখ্য বাঙালি মা বোনদের ইজ্জত ছাড়াও চল্লিশ হাজার নিরীহ বাঙালির তাজা প্রাণ বিসর্জিত হয়েছে। এই ভূমি রক্ষার প্রয়োজনে এই অঞ্চলের প্রত্যেকটি বাঙালি শহীদ হতে সর্বদাপ্রস্তুত।

বিবৃতিতে তিনি আরো জানান যে, পার্বত্য অঞ্চলে এমন একটি ভয়ংকর পরিস্থিতিতে সরকার কর্তিক চারটি সেনাবাহিনীর ব্রিগেট রেখে বাকী সেনাবাহিনা ক্যাম্প প্রত্যাহারের সিধান্ত নিছক আত্নঘাতি সিধান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়। এই সেনাবাহিনি প্রত্যাহার হলে বাংলাদেশের অংশ থেকে চিরোতরে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে পার্বত্য এই অঞ্চল।

অনতিলম্বে সরকারের নিকট বিগত দিনে পার্বত্য অঞ্চল থেকে প্রত্যাকৃত সকল সেনা ক্যাম্প-এর পূনঃস্থাপন পূর্বক নতুন করে পর্যাপ্ত সংখ্যক সেনা ক্যাম্প স্থাপনের জোড়াল দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে। অন্যথায়, সমগ্র দেশের বাঙালি ছাত্রদের সাথে নিয়ে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে শাহাদাৎ ফরাজী সাকিব হুশিয়ারি জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Exit mobile version