পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে

ঠাকুরগাঁও-এ পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবীতে ‘ঠাকুরগাঁও জেলা দেশপ্রেমিক সচেতন নাগরিক সমাজ’ এর ব্যানারে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রাম কে আলাদা রাষ্ট্র করার সংক্রান্ত-ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি তাদের তরফ থেকে দেশের স্বাধীনতা রক্ষার স্বপক্ষে বেশকিছু দাবী পেশ করা হয়।
১) পার্বত্য অঞ্চলে সেনাক্যাম্প বৃদ্ধি করতে হবে:
বক্তারা বলেন: দীর্ঘদিন থেকে পার্বত্য চট্রগ্রামকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র চলছে। দেশী-বিদেশী বিভিন্ন গোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে পৃথক একটি রাষ্ট্র গঠনের চক্রান্ত করছে। এজন্য দেশী-বিদেশী কিছু মহল উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্রসস্ত্র তুলে দিয়েছে। তাই প্রতিনিয়ত পার্বত্য অঞ্চলে হত্যাকান্ড ও গুমের ঘটনা ঘটছে এবং চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে অনেকেই অপহরণের শিকার হচ্ছে। তাই পার্বত্য অঞ্চলকে স্থিতিশীল করতে হলে সেনাক্যাম্প বৃদ্ধিসহ আরো বহু সংখ্যক সেনা মোতায়েন করতে হবে এবং সন্ত্রাসীপনা বন্ধে সেনাবাহিনী কর্তৃক চিরুনী অভিযান চালাতে হবে।
২) রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করতে হবে:
বক্তারা আরো বলেন: উপজাতি সন্ত্রাসীদের মদদ দাতা রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদ নামক এক কুখ্যাত ব্যক্তি ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ৯ম-১০ম শ্রেণীর ‘বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি’ বইয়ে বিতর্কিত ‘আদিবাসী’ শব্দ যুক্ত করেছে। যা রাষ্ট্রদ্রোহী এবং সংবিধান পরিপন্থি। তার উস্কানিতে সম্প্রতি দেশপ্রেমিক বাঙালী ও সন্ত্রাসী উপজাতিদের মধ্যে সঙ্ঘাতের সৃষ্টি হয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বাঙালী শিক্ষার্থী হতাহত হয়। অবিলম্বে এই চক্রান্তের সাথে যুক্ত রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে এবং তাকে এনসিটিবি থেকে অপসারণ করতে হবে।
৩) পার্বত্য অঞ্চলে এনজিও নিষিদ্ধ করতে হবে:
বক্তারা বলেন: পার্বত্য অঞ্চল অস্থিতিশীল হওয়ার পিছনে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন এনজিওর ভুমিকা রয়েছে । তারা এনজিও কার্যক্রমের আড়ালে উপজাতি সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসীপনায় উদ্বুদ্ধ করছে এবং উপজাতিদের খ্রিষ্টান বানানোর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এসব এনজিওর যাবতীয় কার্যক্রম পার্বত্য অঞ্চলসহ সারা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে।
৪) বক্তারা আরো বলেন: সরকারী-বেসরকারী সকল পাঠ্যপুস্তকে প্রকাশিত প্রিয় নবীজীর ব্যাপারে মানহানী-মূলক সকল বক্তব্য বাতিল করে প্রিয় নবীজীর বিশুদ্ধ জীবনী এবং ইসলামী চেতনা সম্বলিত লেখনী বাধ্যতামূলক ভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।