পার্বত্য চুক্তির আলোকে পাহাড়ে বিশেষ শাসন ব্যবস্থা প্রণয়নের দাবি সন্তু লারমার

পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে শাসকগোষ্ঠী জাতিগত বৈষম্য, ধর্মীয় বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতার কারণে বিশ্বাস করে না বলে মনে করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কেন্দ্রীয় সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা।

তিনি বলেছেন, পাহাড়ি জনগোষ্ঠীরা খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও সনাতন না হয়ে ইসলাম ধর্মের অনুসারী হলে সাম্প্রদায়িকতা আসতো না। ধর্মান্ধতা থেকেই মূলত সাম্প্রদায়িকতা আসে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের এনেক্স ভবনের সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আয়োজিত 'বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় যুব সমাজের ভূমিকা' শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় সন্তু লারমা আরও বলেন, শাসকগোষ্ঠী ও সরকার পার্বত্য চুক্তি বাধ্য হয়েই করেছে। তিনি যুব সমাজকে সঙ্গে নিয়ে পার্বত্য চুক্তির আলোকে পাহাড়ে বিশেষ শাসন ব্যবস্থা প্রনয়ণের দাবি করেন।

সেমিনারে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমার সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন চাকমা সার্কেল চিফ (চাকমা রাজা) দেবাশীষ রায়। আলোচক ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কে এস মং মারমা, উন্নয়ন কর্মী ও গবেষক তনয় দেওয়ান, সুজন রাঙামাটি পৌর শাখার সম্পাদক এরফানুল হক রোমেল, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপন ত্রিপুরা, রাঙামাটি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সৈকত রঞ্জন চৌধুরী প্রমুখ।

সেমিনারের প্রধান আলোচক চাকমা সার্কেল চিফ দেবাশীষ রায় বলেন, আত্মনিয়ন্ত্রনাধিকার চাওয়া মানে বিচ্ছিন্নতাবাদী নয়। এর মানে সকল মানুষ যাতে নিজ পরিচয়ে পরিচিত হতে পারে। এসময় সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করতে যুব সমাজকে আরও সক্রিয় হয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন সেমিনারের অন্য বক্তারা।

Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Notice: Trying to access array offset on value of type bool in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme/ar_framework/functions_custom.php on line 255
আরও পড়ুন