parbattanews

পার্বত্য চুক্তির দুই যুগপূর্তি উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে জনসংহতি সমিতির সাংবাদিক সম্মেলন

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন) গ্রুপ দ্রুত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূণাঙ্গ বাস্তবায়নে দাবী জানিয়ে বলেছেন, চব্বিশ বছর অতিক্রান্ত হলেও চুক্তি দুই তৃতীয়াংশ ধারাগুলো অবাস্তবায়িত থাকায় পাহাড়বাসী হতাশ ও সন্দিহান।

শাসক গোষ্ঠী চুক্তির সুফল ভোগ করলেও চুক্তির অপর পক্ষসহ পাহাড়বাসী বঞ্চিত হচ্ছে।চুক্তির অনেক ধারা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন অকার্যকার হয়ে আছে। জেলা পরিষদগুলোতে শাসক গোষ্ঠীর অনির্বাচিত নেতারা চালাচ্ছে।

পার্বত্য চুক্তির দুই যুগপূর্তি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়িতে একটি রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ অভিযোগ করেন। সাংবাদিক সম্মেলন থেকে চুক্তি মোতাবেক ভূমি কমিশনের বিধিমালা প্রণয়নপূর্বক দ্রুত বিচারকি কার্যক্রম শুরু করাসহ সাত দফা দাবী জানানো হয়

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বিভূ রঞ্জন চাকমা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন) কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি আরধ্য চাকমা, সাধারণ সম্পাদক মিন্টু কুমার চাকমা, মহিলা সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ববিতা চাকমা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন) অপর দাবীগুলো হচ্ছে, পার্বত্য চুক্তির আলোকে ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি কার্যকর করা, চুক্তি মোতাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে সাধারণ প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ, ভূমি ব্যবস্থাপনা, উপজাতীয় আইন ও সামাজিক বিচার কার্যাবলী ও ক্ষমতা নির্বাহী আদেশে মাধ্যমে হস্তান্তর, চুক্তি মোতাবেক স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়ে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অনুষ্ঠান, প্রত্যাগত জনসংহতি সমিতির সদস্যদের পুনর্বাসন করা, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরনার্থী ও আভ্যন্তরীন উদ্বাস্তুদের যথাযথ পুনর্বাসন ও পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সমতলের আদিবাসীদের জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা।

Exit mobile version