parbattanews

পার্বত্য চুক্তি একপেশে চুক্তি- মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইব্রাহীম বীর প্রতীক

15304232_683660141792514_2272762637378976008_o

নিজস্ব প্রতিবেদক:

খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইব্রাহীম বীর প্রতীক বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সমস্যা শুধু সেখানের বসবাস কারী বাঙালীদের সমস্যা নয়।এসমস্যা একটি জাতিগত সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে সেখানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের যেভাবে সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে অনুরূপভাবে বাঙালিদেরকে সেই সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী এদেশে কোন আদিবাসী নেই।তথা কথিত আদিবাসী নামে যারা পার্বত্য চট্রগ্রামে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে,তাদেরকে সরকারী ভাবেই মোকাবেলা করতে হবে।

জে. ইব্রাহীম পার্বত্য চুক্তিকে এক পেশে চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং পার্বত্য অঞ্চলের ভূমি বিরোধ সম্পর্কে বলেন, সেখানে বসবাসকারী বাঙালিদের প্রতিনিধিত্বমূলক অংশগ্রহণ এবং সকল পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলেন।

২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তির ১৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৫ বাঙালী সংগঠনের আয়োজিত রাজধানীর এক সমাবেশে জে. ইব্রাহীম এ কথা বলেন। পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলকাস আল মামুন ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ ও বিশেষ অতিথি হিসাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজ পারভেজের বক্তব্য রাখার কথা ছিলো। কিন্তু তারা অনুপস্থিত থাকায় অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা জে. ইব্রাহীম প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন।

পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সাহাদাৎ ফরাজী সাকিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ৫ বাঙালী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য কালো চুক্তির ১৯তম বৎসর পরেও শান্তি আসেনি।জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমা এবং তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিনিধি আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এ চুক্তি সম্পাদন করে ছিলেন। সে দিন জাতীয় সংসদকে পাশ কাটিয়ে জনমনের তোয়াক্কা না করে এ চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন।

তারা বলেন, এ চুক্তি তিন পার্বত্য জেলার সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীকে ২য় শ্রেনীর নাগরিকে পরিণত করেছে। এ চুক্তিকে পার্বত্যবাসীসহ সারাদেশের মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে বাড়ি বাড়ি কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল।যে চুক্তি আজও কোন শান্তি আনতে পারেনি। বক্তারা অবিলম্বে এ কালো চুক্তি বাতিলের দাবী জানান।

এদিকে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ এবং পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে কালো চুক্তি এবং বিতর্কিত ভ’মি কমিশন আইন ২০১৬ বাতিলের দাবীতে শুক্রবার বিকাল ২.৩০ টায় পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ৫(পাচঁ)বাঙালী সংগঠনের আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে  বক্তারা কালো চুক্তি বাতিল করা সহ বিতর্কিত ভুমি কমিশন আইন বাতিল না করলে কমিশনকে কোন সময়ে কার্যকর করতে দেয়া হবেনা বলে হুশিয়ারী দেয়া হয়।

Exit mobile version