পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোতে আ.লীগ পুনর্বাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

fec-image

পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, গতকাল বুধবার ঢাকায় অবস্থানরত পার্বত্য চট্টগ্রামে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেতা পূর্ব নির্ধারিত সিডিউল নিয়ে পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সাথে জেলা পরিষদ পুনর্গঠনের অগ্রগতির বিষয়ে কথা বলতে যায়;কিন্তু তিনি অফিসে থাকার পরেও ছাত্র প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎ না দেওয়ায় তাদের মধ্যে এক ধরনের কৌতুহল তৈরি হয়। পরে মন্ত্রণালয়ের পরিষদ শাখার একজন সিনিয়র কর্মকর্তার কাছে সাক্ষাৎ না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, উপদেষ্টা অনেক মর্মাহত এবং লজ্জিত, তিনি ছাত্রদেরকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারছেননা। উল্লেখ্য পার্বত্য জেলা পরিষদগুলো পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে তিনি ছাত্র প্রতিনিধি রাখার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা পরিষদগুলোতে কোনরূপ ছাত্র-প্রতিনিধি রাখা হচ্ছেনা; অধিকন্তু সরাসরি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের জেলা পরিষদে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। তাছাড়া, গত ১৬ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক হামলায় সরাসরি নেতৃত্বদানকারী কয়েকজনের নাম দেখে ছাত্র-প্রতিনিধিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে এই সমাবেশের আয়োজন করেন।

এই সময় ছাত্র-জনতা উপদেষ্টার এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত মেনে নেবেনা জানিয়ে তিন পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বস্তরের ছাত্র জনতাকে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

সমাবেশ থেকে ছাত্র-নাগরিকদের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি পেশ করেন, মোহাম্মদ এরফানুল হক

দাবিগুলো হলো :

১.বিতর্কিত ব্যক্তিদের দিয়ে পরিষদ গঠনের এহেন দুরবিসন্ধি বাদ দিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনএবং জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনায় বসতে হবে।

২.জুলাই বিপ্লবের আদর্শে উজ্জীবিত ছাত্র নাগরিকদের সমন্বয়ে জেলা পরিষদ গঠন করতে হবে;এই ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলা পরিষদে অন্তত তিনজন ছাত্র প্রতিনিধি রাখতে হবে।

৩.পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সকল প্রতিষ্ঠান থেকে অতিসত্বর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসরদের অপসারণ নিশ্চিত করতে হবে।

সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,শাহাদাত ফারাজী সাকিব, ইঞ্জিনিয়ার থোয়াইচিং মং চাক, অপূর্ব ফারাইং অপু,জিয়াউল হক জিয়া, রুদ্র মোহাম্মদ জিয়াদ,লোকমান,সাকিব প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে ছাত্র-নাগরিকরা সংশ্লিষ্ট দাবিগুলোর বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন