পার্বত্য শান্তিচুক্তি বিশ্বে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে: রাষ্ট্রপতি
শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বিশ্বে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পার্বত্য জেলাগুলোর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার কর্তৃক গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক জাতীয় কমিটি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এক ঐতিহাসিক চুক্তি সই হয়। এর ফলে পার্বত্য জেলাসমূহে দীর্ঘদিনের সংঘাতের অবসান ঘটে; সূচিত হয় শান্তির পথচলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ উদ্যোগ শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিশ্বে একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপার আধার। যুগযুগ ধরে পাহাড়ে বসবাসরত বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বর্ণিল জীবনাচার, ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি এ অঞ্চলকে বিশেষভাবে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছে।
রাষ্ট্রপতি পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি সইয়ে ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় অঞ্চল। শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় এ অঞ্চলের উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ গঠিত হয়েছে। ফলশ্রুতিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক, অবকাঠামো ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে।
পার্বত্য জেলাসমূহের উন্নয়ন কার্যক্রমকে টেকসই ও বেগবান করতে দলমত নির্বিশেষে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরো নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করারও আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।