পালংখালীতে চাঁদা না দেওয়ায় ভিশন নাহিদ ইলেকট্রনিক্সে সন্ত্রাসী হামলা


উখিয়া উপজেলার ক্রাইম জোন নামে খ্যাত পালংখালীতে চাঁদা না দেওয়ায় ভিশন শো রুম নাহিদ ইলেকট্রনিক্সে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।
এ ঘটনায় নাহিদ ইলেকট্রনিক্সের মালিক নুরুল বশর বাদী হয়ে শুক্রবার ওই এলাকার আইয়ুবুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার হোসেন ও অজ্ঞাত আরও ২জনকে আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, উক্ত সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে সিসিটিভি ও ল্যাপ্টপ বন্ধ করতে বলে তখন নুরুল বশর অপারগতা প্রকাশ করলে তার সাথে খারাপ আচরণ করে এবং এক লাখ টাকা নগদ চাঁদা দাবি করে অন্যথায় জীবনে মেরে ফেলার হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যায়। যাওয়ার সময় এও বলে যায় আগামী ১দিনের মধ্যে টাকা না দিলে বড় ধরনের সমস্যা আছে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এই বিষয়ে জমিদার নুরুল আলম জানান, আমরা তার বিরুদ্ধে এর আগেও একটি সংবাদ সম্মেলন করে থানায় মামলা করে ছিলাম, যার মামলা নাম্বার ১৮/০৩/২০১৯ ইংরেজি বিবাদীর বিরুদ্ধে ৩৯৪, পেনাল কোর্ট ১৮৬০ ধারা মতে যাহা চলমান রয়েছে।
সে আরও জানায়, আনোয়ার আমার আর এক বিকাশের দোকানদার আলাউদ্দিন থেকে টাকা গণনার সময় হঠাৎ অতর্কিতভাবে দোকানে এসে তার হাত থেকে ৩০হাজার টাকা নিয়ে যায়, সেও এখন থানায় মামলা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।এতোদিন তার ভয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি এমন দোকানদার অহরহ রয়েছে।
পালংখালী বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হাসান রুবেল বলেন, আমরা আজকে নয় গত একবছর ধরে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছি, এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের সুরাহা পাচ্ছি না, যদি প্রশাসন এর বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ না নেয় আমরা দোকান পাট বন্ধ করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হবো।
পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি এম.এ মনজুর বলেন, পালংখালী বাজারে একটি সংঘবদ্ধ সংগঠন রয়েছে রাতে মদ্যপান করে মাতাল অবস্থায় দোকান গুলোতে চাঁদা দাবি করে সকাল হলে ভালো মানুষ এ রুপ নেয়।
এবিষয়ে আনোয়ার হোসেন এর মোবাইলে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ এর চেষ্টা করে ও মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এই বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মীর মো. আরিফ আলী জানান, আমি তদন্ত করে দেখেছি তার বিরুদ্ধে মামলা হবে, কারণ চাঁদা দাবির সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিওতে প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।