পালংখালীতে সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য নুরুল হকের অভিযোগ
উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বর্তমান নির্বাচিত ইউপি সদস্য নুরুল হককে মিথ্যা ইয়াবা মামলায় হয়রানীর প্রতিবাদে এবং ষড়যন্ত্রমুলক মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
বুধবার (১১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় পালংখালী স্টেশনের ইসলামীয়া মার্কেট চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলেন, উক্ত মামলায় এজাহারে নাম না থাকা স্বত্বেও চার্জশীটে আমাকে জড়িয়ে হয়রানী করছে। আমি নির্দোষ, আমি ঘটনা সাথে জড়িত নয়, আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামি করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি ইতোপূর্বে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত ছিলাম না। কিন্ত পারিবারিকভাবে আমরা আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান।মানুষের সেবা করতে গিয়ে যদি এমন পরিণতি হয়,তাতে আমার দুঃখ নেই। তবে নির্দোষ হয়ে কেন শাস্তি ভোগ করবো। জাতীর বিবেক হিসেবে আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন রইল।
নুরুল হক বলেন, ২০১৭ সালে পালংখালী বাজারে স্থানীয় চৌকিদার নুর হোসেন ইয়াবাসহ একজন রোহিঙ্গাকে আটক করে। তাতে আমি সহযোগিতা করে ওই রোহিঙ্গাকে থানায় সোপর্দ করি। এজাহারে আমার নাম না থাকা স্বত্তেও ওই ইয়াবা মামলায় আমাকে চাজর্শীটে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
আমি কোন দিন ইয়াবা ব্যবসায় সম্পৃক্ত ছিলাম না। ওই মামলায় ৩ জানুয়ারি আমাকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘ প্রায় ২ মাস কারাভোগের পর ২৭ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি লাভ করি।
আমার নির্বাচনে পরাজিত একটি চক্র ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে দারি করেন তিনি। উক্ত মামলা পূর্ণতদন্ত করে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ঘটনার প্রত্যেক্ষদর্শী গয়ালমারা গ্রামের আলী আহমদের ছেলে আবু তাহের(৩০) স্বাক্ষ্য দিয়ে বলেন, নুরুল হক ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গাকে আটক করতে সহযোগিতা করেছেন মাত্র। তাকে কেনো চার্জশীটভুক্ত করেছে জানিনা। সে জড়িত নয়। ৭ নং ওয়ার্ডের চৌকিদার নুর হোসেনও (৪৫) একই বক্তব্য পেশ করেন।
এসময় পালংখালী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেন জুয়েল, উখিয়া উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন, ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, যুবলীগ নেতা নুরুল আবছার চৌধুরী, স্থানীয় সমাজ সর্দার আবদুল গফুরসহ স্থানীয়, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ছাড়াও ৭ নং ওয়ার্ডের শত-শত নারী-পুরুষ নুরুল হক মেম্বারকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতার করে হয়রানী করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তাকে মিথ্যা ষড়যন্ত্র মুলক মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানান।