খাগড়াছড়ির পাহাড়ে বারহি ও আম্বার জাতের খেজুর চাষে সাফল্য


গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদশে সরকারের কৃষি বিভাগ দেশের পার্বত্যাঞ্চলে কৃষির সম্প্রসারণে নিত্যনতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা চালাচ্ছে। এবারে তারা পাহাড়ের ঝুমে বারহি ও আম্বার জাতের খেজুর চাষের উজ্জল সম্ভাবনার সুসংবাদ দিল উদ্যোক্তাদের। খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়া বারহি ও আম্বার জাতের খেজুর চাষের জন্য বেশ উপযোগী। খাগড়াছড়ির এক প্রত্যন্ত এলাকায় পাহাড়ি টিলাভূমিতে নুর আলম নামের একজন কৃষি উদ্যোক্তা বারহি ও আম্বার জাতের খেজুর চাষ করে সফল হয়েছেন বলেও জানান কৃষি কর্মকর্তাগণ।
কর্মকর্তারা বলছেন, পাহাড়ের জুমে খেজুর চাষে সফল নুর আলম খেজুর উৎপাদনের পাশাপাশি খেজুরের চারাও বিক্রি করেন। আগ্রহী উদ্যোক্তার নুর আলমের পরামর্শ নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় পাহাড়ে খেজুর চাষে এগিয়ে আসতে পারেন।
জানা যায়, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা উপজেলা সদর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরের রসুলপুরে আরবের খেজুর চাষ করে নুর আলম সরকারের কৃষি বিভাগের প্রশংসা কুড়িয়েছেন এবং উৎপাদিত খেজুর বিক্রি করে উ্ল্লেখযোগ্য আর্থিক লাভেরও আশা করছেন। চলতি মৌসুমে অন্তত ৭ লাখ টাকার খেজুর বিক্রির আশা করছেন কৃষি উদ্যোক্তা নুর আলম।
নুর আলম জানিয়েছেন, তার বাগানে মাত্র ৩ বছরের ব্যবধানে গাছে ফলন আসতে শুরু করেছে। বিভিন্ন ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই খেজুরের চাষ শুরু করেন নুর আলম। নুর আলম ২০১৯ সালের দিকে পাহাড়ে ১৩ একর টিলা ভূমি ক্রয় করেন। এরপর বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে বারহি জাতের খেজুর চাষ শুরু করেন তিনি। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড থেকে ১০২টি টিস্যু কালচার চারা সংগ্রহ করেন। যা দিয়ে তিনি খেজুরের বাণিজ্যিক চাষ শুরু করেন। তিন বছর পর থেকে ফলন আসা শুরু হয়। সেবছর ২৪টি গাছে ফলন আসে। তবে চলতি মৌসুমে প্রায় প্রতিটি গাছেই ফলন এসেছে। বারহির পাশাপাশি বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান আম্বার জাতের খেজুরের চারা রোপণ করেন নুর আলম। সেগুলোতে এবার ফলন এসেছে বলে জানান।
পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়া যেহেতু খেজুর চাষের উপযোগী সেক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যাপকহারে খেজুর চাষ হলে স্থানীয়ভাবে চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো গেলে আমদানি নির্ভরতা কমে আসবে। তাছাড়া ব্যাপক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে বলে জানান এ উদ্যোক্তা ও সরকারে কৃষি বিভাগ।