পাহাড়ি-বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে জনজীবন

fec-image

আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা কাটিয়ে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে পাহাড়ি জনপদ খাগড়াছড়ি। এরই মধ্যে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ডাকা ৭২ ঘণ্টার ‘সিএইচটি ব্লকেড’ শেষ হয়েছে। ফলে সড়কে বেড়েছে যানচলাচল।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি শহরে পাহাড়ি-বাঙালির উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সবাই যে যার কাজে বের হয়েছেন। অবরোধ ঘিরে জেলার কোথাও কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।

পাহাড়ের অধিবাসীরা মনে করেন, পাহাড়ি-বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে আস্থার সঙ্কট ও আতঙ্ক কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে উঠবে খাগড়াছড়ি শহর। অবসান হবে সংঘাত-সহিংসতার।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, অবরোধের শেষ দিন কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

এর আগে খাগড়াছড়ির নিউজিল্যান্ড এলাকায় বাঙালি যুবক মো. মামুন হত্যার পর বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কলেজ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিল বের হলে লারমা স্কয়ারে বাধা দেওয়া হয়। এতে পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ। এসময় দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় দীঘিনালার লারমা স্কয়ারের শতাধিক দোকানপাট ও বসতবাড়ি। পরবর্তীতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে পুরো খাগড়াছড়ি। এমনকি পাশের জেলা রাঙ্গামাটিতেও সংঘর্ষ হয়।

সবশেষ সহিংসতায় খাগড়াছড়িতে তিনজনের প্রাণহানি ঘটে। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন জনপদে। তবে সেই আতঙ্ক কেটে এখন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে খাগড়াছড়ি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অবরোধ, খাগড়াছড়ি, গণপরিবহন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন