পাহাড় ও সমতলের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন আরো দৃঢ় হবে : পার্বত্য উপদেষ্টা


পাহাড় ও সমতলের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন আরো দৃঢ় হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। শনিবার (১১অক্টোবর) বিকেলে রাঙামাটির মোনঘর মাঠে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় উপদেষ্টা বলেন, এবার আমরা প্রথমবারের মত এই জাতীয় কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান আয়োজন করলাম। আমি আশা করবো আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। এর মাধ্যমেই পাহাড় ও সমতলের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন আরো দৃঢ় হবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারকে সহায়তা করুন। নির্বাচনে যাওয়ার জন্য এই সরকার কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনের একটি মাস নির্ধারণ করা হয়েছে, তাতেই হয়তোবা নির্বাচন হবে। সুতরাং দয়া করে আপনারা এই সরকারকে সহায়তা করুন যেন আমরা নির্বাচনটি ভালোভাবে করে দিয়ে এই দেশকে গণতন্ত্র ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ উপহার দিতে পারি এবং এই দেশের মানুষের মূল্যবোধ ও আর্থিক সক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন মোনঘরের সভাপতি ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথের।
পঞ্চশীল প্রার্থনা শেষে চীবর উৎসর্গ করা হয় এবং অনুষ্ঠানে আগত ভিক্ষু সংঘের হাতে চীবর তুলে দেন অতিথি ও পূর্ণার্থীরা। মূলত বৌদ্ধ ভিক্ষুদের আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা বা প্রবারণা পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাসের পর শুরু হয় মাসব্যাপী এ দানোত্তম কঠিন চীবর দান। বৌদ্ধ ধর্ম মতে দানের মধ্যে শ্রেষ্ট বলে, দানোত্তম বলা হয়, এ দানের ফল অপরিসীম বলে মনে করেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নর-নারীরা।

















