পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে কাপ্তাইয়ে প্রশাসনের মাইকিং


রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় ভারী বর্ষণে বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে এখনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। রোববার সকাল ৯টায় কাপ্তাই ইউনিয়নের নতুনবাজার সংলগ্ন কেপিএম টিলা কার্গো নীচে নামক স্থানে অতিবর্ষণের ফলে পাহাড়ের মাটি ধসে ঘরের ওপর পড়েছে। এতে মো. দানা মিয়া ও তার ছেলে মনির হোসেন নামের দুই জন ব্যক্তির ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এদিকে বড়ইছড়ি-ঘাগড়া সড়কের মুরালী পাড়ায় সড়কে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়া শুরু হয়েছে। কাপ্তাই- বড়ইছড়ি সড়কের আশেপাশেও মাটি ধস হচ্ছে। এভাবে বৃষ্টিপাত চলমান থাকলে ক্ষয়ক্ষতি আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে কাপ্তাইয়ে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত থাকলেও সেখানে যেতে চায় না ধস ঝুঁকিতে বসবাসকারীরা। পাহাড়ে ঝূঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হলেও তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে যাচ্ছেন না। যার ফলে দুর্ঘটনার আশংকা বাড়ছে। এদিকে পাহাড় ধসের বেশি ঝুঁকিতে আছে কাপ্তাই ঢাকাইয়া কলোনী, লগগেইট, শিলছড়ি, বাটঘোনার বাসিন্দারা। তাদেরকে অনুরোধ করেও নিরাপদ আশ্রয়ে আনতে পারছেন না জনপ্রতিনিধিরা। তাদের অধিকাংশই মনে করেন বৃষ্টিপাত আরো বাড়লে তখন তারা আশ্রয় কেন্দ্রে যাবেন। এর আগে নয়।
এদিকে ৪নং কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, আমরা বারবার মাইকিং করে অনুরোধ করেও ঝুঁকিতে থাকা বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনতে পারছি না। ইতিমধ্যে কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসের খবর এসেছে। টানা বর্ষণ চলতে থাকলে পাহাড় ধসের ঝুঁকি আরো বাড়বে বলে তিনি জানান।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। ঝুঁকিতে বসবাসকারীরা যেন নিরাপদে চলে আসে এ জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।