‘পাহাড়ি জীবনের সংগ্রাম চলচ্চিত্রে চিত্রিত হওয়া উচিত’

fec-image

পাহাড়ি মানুষের জীবনের সংগ্রাম চলচ্চিত্রে চিত্রিত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানের বক্তারা। পার্বত্য অঞ্চলের চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর জন্য আয়োজিত পঞ্চম পার্বত্য চলচ্চিত্র উৎসবের ঢাকা পর্ব সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে গত রবিবার। রাজধানীর পান্থপথের দৃক গ্যালারিতে গত ২৬-২৮ নভেম্বর আয়োজিত হয় তিন দিনব্যাপী এই চলচ্চিত্র উৎসব।

ম্রো জনগোষ্ঠীর বিখ্যাত বাদ্যযন্ত্র প্লুং বাজিয়ে শুরু হয় এবারের উৎসব। উৎসবে মোট ২৩টি চলচ্চিত্র প্রর্দশিত হয়।

উৎসবের সমাপনী দিনে বিশিষ্ট আলোকচিত্রশিল্পী, সাংবাদিক ও সমাজকর্মী শহিদুল আলম বলেন, “ঢাকায় এ ধরণের উৎসব আয়োজন করা হয়েছে এটি অনেক বড় ব্যাপার। পাহাড়ি মানুষের জীবন আরো আগে সবার সামনে তুলে ধরা উচিত ছিল। আমরা ভাষার জন্য লড়াই করেছি কিন্তু অন্যের ভাষার জন্য লড়াই থামিয়ে দিয়েছি। আমাদের দেশে ভয় আছে, ভয়ের পরিবেশও আছে কিন্তু ভয় জয় করার শক্তিও আমাদের রয়েছে”।

উৎসব পরিচালক তরুণ নির্মাতা এডিট দেওয়ান বলেন, ” ঢাকায় পাহাড়ের মানুষ অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়। আমিও এসব প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছি। একবার পাবলিক বাসে চাকমা ভাষায় কথা বলছিলাম বলে আমাকে থামিয়ে দেয়া হয়েছিল, বলা হয়েছিল চাকমা ভাষায় কথা বলা যাবে না। সেই ঢাকাতেই পার্বত্য চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন করতে পারছি বলে ভালো লাগছে “।

সমাপনী আয়োজনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক, এক্টিভিস্ট ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. রেহনুমা আহমেদ। তিনি বলেন, আমি এই চলচ্চিত্র উৎসবে যতগুলো ছবি দেখলাম, সেগুলোতে লক্ষ করলাম পাহাড়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা তাদের ভাবনায় কোনো সেটলার বাঙালি এবং আইন রক্ষাকারী বাহিনী রাখেন নাই। বুঝতে পারলাম তারাও এদেরকে পাহাড়ের যে সামগ্রিক অবয়ব থেকে বাদ দিতে চান। কেননা, পাহাড়ে এদের উপস্থিতি থাকুক তারাও সেটা চাননা। এ ধরণের চলচ্চিত্র আরো নির্মাণ করতে হবে বলে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের আরো উৎসাহিত করেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন