parbattanews

‘পাহাড়ের উন্নয়নে সকল সম্প্রদায়ের সম-অংশীদারিত্ব প্রয়োজন’- সাবেক রাষ্ট্রদূত

সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি (সচিব) সুপ্রদীপ চাকমা সুমিত্র পাহাড়ের উন্নয়নে সবাইকে একসাথে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, সব সম্প্রদায় চাকমা-মারমা-ত্রিপুরা-বাঙালি এক সাথে ইনক্লুসিভলি বসার পরিবেশ সৃষ্টিতে মনোযোগী হতে হবে। শিক্ষাকে উন্নয়ন এবং সামগ্রিক অগ্রগতির মূল ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।

তিনি পাহাড়ি-বাঙালির সম্পর্কের গভীরতা প্রসঙ্গে বলেন, বৃহত্তর জনগোষ্ঠী বাঙালিরা এগিয়ে না আসলে সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীসমূহের প্রত্যাশিত উন্নয়ন অধরা থেকে যাবে। তাই নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ার মাধ্যমে শান্তি বিনির্মাণের পথ খোঁজতে হবে।

অবসর জীবনে ইউএনডিপির ‘এসআইডি-সিএইচটি’ প্রজেক্টের ন্যাশনাল প্রোগাম ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত এই কূটনীতিককে সোমবার (৮ আগস্ট) বিকালে জন্মস্থান খাগড়াছড়ি জেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী কমলছড়ি গ্রামে দেয়া সংবর্ধনার জবাবে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন।

নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘কমলছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় এবং কমলছড়ি গ্রামবাসী’র যৌথ উদ্যোগে বিদ্যালয়টির হল রুমে আয়োজিত এই সংবর্ধনায় সভাপতিত্ব করেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী শুভাশীষ চাকমা পিন্টু। অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামীলীগ নেতা শুভমঙ্গল চাকমা সুদর্শী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. আশুতোষ চাকমা, খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক ত্রিনা চাকমা, সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য চম্পানন চাকমা, কমলছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরুণ জ্যোতি চাকমা, সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের সাবেক ব্যবস্থাপক পবন বীর চাকমা এবং খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী।

শিক্ষক নেতা জ্ঞান জ্যোতি চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পানছড়ি সরকারি কলেজের শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক মধুময় চাকমা।

Exit mobile version