পাহাড়ের দুর্গম এলাকাতেও জ্বলবে আলো: পার্বত্যমন্ত্রী
পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন- পাহাড়ের দূর্গম যেসব এলাকায় আপাতত বিদ্যুৎ পৌছানো সম্ভব নয় সেখানেও জ্বলবে আলো। বিনা পয়সায় এবং দলমত নির্বিশেষে সৌর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে সেসব গ্রাম। এছাড়া রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদ ভবনের কাজও অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবান (১সেপ্টেম্বর) বান্দরবান জেলা সদরের সুয়ালক ও রেইচা এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎহীন এলাকার জনসাধারণের সুবিধার্থে প্রায় ২১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪২ হাজার ৫শত পরিবারের মধ্যে সোলার বিতরনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দল বা মুখ দেখে সৌর বিদ্যুত দেওয়ার অভিযোগ পেলে সেসব জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রত্যেকের ঘরে আমি আলো দেখতে চাই।
সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদে সৌর বিদ্যুত বিতরণকালে বীর বাহাদুর বলেন, সুয়ালক ইউনিয়নকে আলোকিত দেখতে চাই। জেলা সদরের প্রবেশপথে গুরুত্বপূর্ণটি এলাকাটি যেনো বাতির নিচে অন্ধকার হয়ে আছে। কেন এর পরিবর্তন হচ্ছেনা তা জনপ্রতিনিধিদের খতিয়ে দেখতে হবে। আমি ভোটের রাজনীতি করিনা। কে আমাকে ভোট দিলো বা দিলোনা সেটা বড় বিষয় নয়, আমি বান্দরবানের প্রতিটি গ্রামে উন্নয়ন দেখতে চাই। এসময় ৪৩জন গ্রামবাসীর মাঝে সৌর বিদ্যুত বিতরণ করেন মন্ত্রী।
এর আগে পার্বত্যমন্ত্রী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সুয়ালক-সুলতানপুর সড়কের উদ্বোধন ও ৩ কোটি ৮২ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা ব্যয়ে রেইচা বাজার শেডের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. শফিউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজা সরোয়ার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাবিবুল হাসান, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশল মো. আবু সাদত জিল্লুর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষী পদ দাশ, মোজাম্মেল হক বাহাদুর, সাবেক সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুছ, সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উক্যনু মার্মাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।