পাহাড়ে দুর্গম পল্লীর দরিদ্রদের ঘরে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছেন ইউএনও

fec-image

করোনা প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া পার্বত্য এলাকার দুর্গম পল্লীর অতি দরিদ্র মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। সরকারি এ কার্যক্রমে পাহাড়ে খেটে খাওয়া উপজাতি ও বাঙালি দরিদ্র মানুষ দু’ বেলা খেয়ে বেঁচে আছেন।

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় শনিবার(২৮ মার্চ) থেকে এবং পার্শ্ববর্তী গুইমারায় গত রবিবার এ খাদ্য সহায়তা প্রদান কার্যক্রম চালু করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে দরিদ্র মানুষের হাতে হাতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন।

রামগড়ে শনি ও রবিবার এ দুদিনে প্রায় ২২০ জন এবং গুইমারায় দেয়া হয়েছে ১৮০ জনকে। বিতরণকৃত খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে জনপ্রতি ১০ কেজি চাল, এক কেজি আলু, আধা কেজি ডাল, আধা কেজি লবণ, আধা লিটার সয়াবিন তেল ও একটি সাবান।

গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার আহমেদ সোমবার উপজেলার গুইমারা, সিন্ধুকছড়ি ও হাফছড়ির বিভিন্ন গ্রামে ১৪১ জন অতি দরিদ্র মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। এ সময় গুইমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেমং মারমা, সিন্ধুকছড়ির চেয়ারম্যান রেদাক চাকমা, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সমন্বয়কারী শান্তনু মহাজন উপস্থিত ছিলেন।

ইউএনও তুষার আহমেদ জানান, প্রথম পর্যায়ে ৫৪০ জনকে চলমান এ খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। অপরদিকে, রামগড়ে উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম বদরুদ্দোজা, বিভিন্ন গ্রামে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজীব কান্তি রুদ্র, থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ শামসুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

গত দুদিন রামগড় পৌরসভা ও ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। সংশ্লিষ্টরা জানায়, সোমবার (৩০ মার্চ) বিকেলে ১ নং রামগড় ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে খাদ্য সামগ্রী বিতরণে গেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও ও অন্যান্য কর্মকর্তারা। সোমবার ২৭০ জনকে খাদ্য সামগ্রী দেয়ার পরিকল্পনা তাদের।

পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় দরিদ্র অসহায় মানুষের ঘরে গিয়ে তাদের হাতে হাতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানোয় দারুণ খুশি তারা। গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার আহমেদ বলেন, ‘দুর্গম পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে দরিদ্র মানুষের হাতে এ খাদ্য সামগ্রী পৌঁছাতে খুব কষ্ট হলেও আত্মতৃপ্তিও পাচ্ছি অনেক। খাদ্য সামগ্রী হাতে পেয়ে অসহায় মানুষগুলোর মুখে খুশির হাসি আমাদের কষ্ট ভুলিয়ে দেয়।’

এদিকে, রামগড় পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ শাহ জাহান কাজী রিপন ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সোমবার ভোররাতে পৌর সভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ৬৫০ জন কর্মহীন দরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। মেয়র নিজ হাতে এ ত্রাণ বিতরণ করেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: খাদ্য সামগ্রী, পাহাড়ে দুর্গম পল্লীর
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন