parbattanews

পাহাড় কাটার দায়ে যুবলীগ সভাপতিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

পেকুয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ বিডিআর জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

পাহাড় কাটার দায়ে পরিবেশ অধিদপ্তর পেকুয়ার আলোচিত দু’জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন। গত সোমবার (৫ ডিসেম্বর) পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সর্দার শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন শিলখালী ইউনিয়নের মাঝেরঘোনা এলাকার মৃত. আশরাফ আলীর ছেলে কবির হোসেন (৬৫), মৃত. শাহ আলমের ছেলে নিয়ামত (৩০), মৃত. খুইল্যামিয়ার ছেলে মোস্তাক আহমদ প্রকাশ মুছা (৫৫)। অপর একজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদী জানান আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কাটায় জড়িত। এদের নেতৃত্বে একটি সক্রিয় পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট পেকুয়ার সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও রির্জাভ ভুমি কর্তন করে এর মাটি পরিবহন ও সরবরাহ করছে।

তারা খাল বিল, পুকুর ভরাট করে পরিবেশের মারাত্বক ভারসাম্য বিনষ্ট করছে। শিলখালী মাঝেরঘোনা, জারুলবুনিয়া, কাছারীমুড়া, নাপিতারচিতা, বারবাকিয়ার ভারুয়াখালী, নাজিরমুড়া, চাকমারঢুরি, পাহাড়িয়াখালী, ছনখোলা ও টইটং ইউনিয়নের জুমপাড়া, পুর্ব সোনাইছড়ি, রমিজপাড়া, মৌলভীপাড়া, পুর্ব ধনিয়াকাটাসহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা থেকে তারা পাহাড় কর্তন করে মাটি পাচার করছে। গত কিছুদিন আগে অভিযান চালিয়ে মাটিভর্তি একটি পিকআপ জব্দ করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করে।

এ দিকে পাহাড় কাটার দায়ে মামলা করা হলেও একটি চক্র পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছে।

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়েছিলাম। চট্টগ্রাম শহরের বাসায় অবস্থান করছি। জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী হয়েছি। অহেতুক পাহাড় কাটার সাথে আমাকে জড়ানো হয়েছে। এটি রাজনৈতিক চক্রান্ত। পাহাড় কাটার সাথে আমার সম্পৃক্ততা নেই। আমি এ বিষয়ে অত্যন্ত মর্মাহত।

উপজেলা জাতীয় পাটির্র সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ বিডিআর জাহাঙ্গীর জানান, অন্য একটি বিষয়ে অহেতুক আমাকে আসামি করা হয়েছে। আমি গাড়ি বিক্রি করে দিয়েছি তিন মাস আগে। পাহাড় কাটার সাথে আমি জড়িত নই। আমার নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ পাহাড় কাটলে এখানে আমার জড়িত থাকার প্রশ্ন আসেনা। হয়রানির উদ্দেশ্যে এ মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ জিয়া মো. মোস্তাফিজ ভুঁইয়া মামলা রেকর্ড়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Exit mobile version