পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না হলে সকল নির্বাচন বয়কটের হুমকি দিলো আওয়ামী লীগ

ooooooo

নিজস্ব প্রতিবেদক :

পার্বত্য চট্রগ্রামে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না হলে শুধু ইউপি নির্বাচন কেন ভবিষ্যতে কোন নির্বাচনেই অংশ নেবে না আওয়ামী লীগ- এমন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে। তাই নিরাপত্তা বাহিনী, র‌্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে পাহাড়ে চিরুনী অভিযানের মাধ্যমে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের পর রাঙ্গামাটির ৪৯টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ।

নির্বাচন কমিশন কর্তৃক রাঙামাটিতে ৪৯টি ইউপি নির্বাচন স্থগিত সর্ম্পকে বৃহস্পতিবার রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ফিরোজা বেগম চিনু, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মুছা মাতব্বর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার চাকমা, দপ্তর সম্পদক রফিক আহম্মদ তালুকদার, রোমান প্রমূখ।

সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, পার্বত্য এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র যতদিন উদ্ধার করা যাবে না ততদিন কোন নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক হবে না।১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তির পর এখানে কোন অস্ত্র থাকার কথা নয় তাই আমরা চাই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হোক।আর পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের আগ পর্যন্ত অত্রাঞ্চলে সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে আঞ্চলিক দলের না ভাঙ্গিয়ে চলা অব্যাহত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা না গেলে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে অংশ নিলে নিজেদের অস্তিত্ব সংকটের আশঙ্কাও করছে রাঙামাটি আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, বুধবারে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভায়ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের সুপারিশ করা। সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদারও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন। চুক্তির স্ব-পক্ষের নেতারা সহযোগিতা করলে এ কাজ আরো গতিশীল হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ব্যাতিত এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যাবে না এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন স্থগিত করায় কমিশনকে ধন্যবাদ জানান।

তারা বলেন, এখানকার গণমানুষের দাবি যতদ্রুত সম্ভব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান শুরু করা হোক।

উল্লেখ্য, রা্ঙ্গামাটি জেলার ৪৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৯টিতে প্রার্থী দিতে না পারায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের আপত্তির কারণে চলমান তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন পিছিয়ে ষষ্ঠ ধাপে নিয়ে গেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ষষ্ঠ ধাপেও সকলে ভয়হীন পরিবেশে নমিনেশন দিতে পারবে বা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে তার নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কেউ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন