parbattanews

পাড়াবাসীর রাস্তা এখন ক্ষমতার দাপটে ইউপি সচিবের পারিবারিক ড্রেন

লামার সরইয়ে প্রায় অর্ধশত পরিবারের চলাচলের প্রায় দুইশত ফুট দৈর্ঘ্য একটি রাস্তাকে কেটে পারিবারিক ড্রেন নির্মাণ করলেন মো. মুছা নামে স্থানীয় এক ইউনিয়ন পরিষদের সচিব। গত দু’দিন ধরে স্কেভেটর (মাটি কাটার যন্ত্র) দিয়ে উপজেলার সরই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের জোড়া ব্রীজ থেকে দ্রেরাজ মিয়া পাড়ার এই রাস্তাটির বুক চিড়ে ড্রেন নির্মাণ করে তিনি।

পাড়াবাসীর অভিযোগ, সচিবের এই রাস্তা কাটার বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় সরই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার মিলেনি। ফলে যাতায়াতে আর কোনো রাস্তা না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন ওই পাড়াটির অধিবাসীরা।

আন্দারী দ্রেরাজ মিয়া পাড়ার বাসিন্দারা জানান, লামা-সুয়ালক সড়কের সরই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের জোড়া ব্রীজ এলাকার এই রাস্তা দিয়েই কয়েক যুগ ধরে যাতায়াত করছেন এই পাড়ার বাসিন্দারা। হঠাৎ গত দু’দিন স্কেভেটর দিয়ে জোড়া ব্রীজ থেকে প্রায় দুইশত ফুট দৈর্ঘ্য এই রাস্তাটির বুক চিড়ে একটি ড্রেন নির্মাণ করেছেন ইউপি সচিব মো. মুছা। ড্রেন নির্মাণকালীন পাড়াবাসী বারবার বাঁধা দেওয়ার পরও মুছা কোনো কর্ণপাত করেন নি।

পাড়ার বাসিন্দারা আক্ষেপ করে বলেন, এই রাস্তাটিই ছিলো পাড়ার অর্ধশত পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। পাড়ার বাসিন্দাদের হাট-বাজারে যাওয়া আসা বা ছেলে-মেয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াতের মাধ্যম ছিলো এই রাস্তাটিই। ইউপি সচিব মো. মুছার ক্ষমতার দাপটে তা এখন আর নেই।

এ প্রসঙ্গে জানতে জানতে চাইলে সরই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. মুছা বলেন, আদৌত সেখানে আমার কোনো জায়গা জমি নেই। ওই রাস্তাটির মাথায় আমার মামা শশুরের কিছু জমি। সেসব আমি জামাতা হিসেবে দেখভাল করি। তবে জনগণের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে ড্রেনে পরিনত করার কোনো সুযোগ আছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে মুছা বলেন, এলাকাবাসীর জন্য পরে অন্য কোনো দিক দিয়ে রাস্তা করে দিবো।

যদিও লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রেজা রশিদ বললেন, সরই’র ওই রাস্তা কেটে ড্রেন নির্মাণের খবরটি শুনেছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরিদুল আলম বলেন, জনগণের যাতায়াতের রাস্তা কেটে সচিবের এই ড্রেন নির্মাণ এটা পুরোপুরি অন্যায়।

Exit mobile version