parbattanews

পিএইচডি অর্জনে অস্ট্রেলিয়া সরকারের স্কলারশীপ পেয়েছেন মানিকছড়ি’র কৃতি সন্তান মুহাম্মাদ ফরহাদ

আর্ন্তজাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়’র সহকারী অধ্যাপক, পার্বত্য চট্টগ্রামের অহংকার, মানিকছড়ি’র কৃতি সন্তান মুহাম্মাদ ফরহাদ হোসেন বাংলাদেশের সামুদ্রিক আইনে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিখ্যাত University of Wollongong-এ পিএইচডি অর্জনে অস্ট্রেলিয়া সরকারের স্কলারশীপ অর্জন করেছেন।

আর্ন্তজাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মাদ ফরহাদ হোসেন, মানিকছড়ি উপজেলার গাড়ীটানা নিবাসী মুহাম্মদ জাকির হোসেন ও হোসেনেয়ারা বেগম এর একমাত্র পুত্র। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। সে জন্মস্থান গাড়ীটানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৯ সালে ৫ম শ্রেণি, ফটিকছড়ি করোনেশন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৫ সালে এসএসসি-৪.০০ ও হাটহাজারী সরকারি কলেজ থেকে ২০০৭, ৪.৫ এইচএসসি পাস করেন। পরে আর্ন্তজাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম এ প্রথম বিভাগে প্রথম হয়ে ২০১১সালে ৩.৭৫(৪.০০) পয়েন্টে এলএলবি(অর্নাস) এবং একই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথম বিভাগে প্রথম হয়ে ২০১২ সালে ৩.৯০(৪.০০) পয়েন্ট পেয়ে এলএলএম শেষ করেন। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে যোগদান করেন।
২০১৯ সালে তিনি ৩টি আর্ন্তজাতিক Peer Review প্রবন্ধ এবং ১টি আইনের বই প্রকাশনার কারণে তাকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়। এছাড়া তাঁর আইন বিষয়ে ৮-১০টি গবেষণা পত্র রয়েছে। যা ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন নামী-দামী জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি গত ৭ম ও ৮ম সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় ভাইভা বোর্ড মোকাবেলা করেন।

বর্তমান কর্মস্থল আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী অধ্যাপক পদে থাকা অবস্থায় সে চট্টগ্রাম জজ আদালত, চট্টগ্রাম কর আদালত ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রজীবনে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস প্রতিনিধি হিসেবে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় সাংবাদিকতা ও TIB ’র সাথে দেশের দুর্নীতি দমনে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

সম্প্রতি Australia ’র বিশ্ব বিখ্যাত University of WollongongÕG Australian Government Scholarship পেয়ে Autumn-2021 Session এ “বাংলাদেশের সামুদ্রিক আইনের ওপর” PhD করার সুযোগ লাভ করেন।

এ বিষয়ে তাঁর অনুভূতি জানতে চাইলে মুহাম্মাদ ফরহাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের সামুদ্রিক সীমান্ত ভূ-সীমানা থেকে অনেক বেশি। এই বিশাল ভূ-সীমান্তকে আইনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নে কীভাবে সুফল পাওয়া যায় সে বিষয়ে গবেষণা, প্রতিবেশি মিয়ানমার এবং ভারতের সাথে আমাদের যে সামুদ্রিক সীমান্ত রয়েছে তাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে তা ব্যবহার করা এবং নিজ জন্মভূমি মানিকছড়ি’র শিক্ষা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখাসহ ভবিষতে এলাকায় একটি Polytechnical College স্থাপন আমার দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন। এলাকার সকল অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ‘ আপনারা সকলে নিজ সন্তানের প্রতি সু-শিক্ষায় যত্নবান হোন” আপনার সন্তানরাও একদিন দেশ তথা বিশ্ব জয় করবে। আমি সবার দোয়া প্রার্থী।।

Exit mobile version