parbattanews

পিন্ডদানের মাধ্যমে বান্দরবানে কঠিন চীবর দানোৎসব সম্পন্ন

বান্দরবানে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পিন্ডদানের মাধ্যমে মাসব্যাপী কঠির চীবর দানোৎসব শেষ হয়েছে। সোমবার (৩০ নভেম্বর) সকালে বান্দরবান কেন্দ্রীয় রাজগুরু বৌদ্ধ বিহার থেকে তিন শতাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ পিন্ডগ্রহণের উদ্দেশ্যে বের হয়ে শহরের বৌদ্ধ ধর্মালম্বী অধ্যুষিত সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করেন।

এসময় বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী শিশু-কিশোররা প্যান্ডেল সাজিয়ে সড়কের দু’পাশে দাড়িয়ে ভিক্ষুদের শ্রদ্ধা জানিয়ে নগদ টাকা, চাল, ফল, মিষ্টি, মোম আগরবাতি, শুকনো খাবারসহ নানা রকম উপকরণ দান করেন।

এদিকে প্রতিবছরই মাসব্যাপী বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কঠিন চীবর দানোৎসব শেষে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের উদ্দেশ্যে এই মহা পিন্ডদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর এই পিন্ডদান অনুুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আগামী দিনের সুখ শান্তি প্রত্যাশা করে বৌদ্ধ ধর্মালম্বী নর-নারীরা।

প্রচলিত আছে গৌতম বুদ্ধের মহা পূণ্যবতী নারী বিশাখা দেবী এই কঠিন ব্রতী পালন করে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবক্তা গৌতব বুদ্ধকে চীবর দান করেছিলেন। সেই সূত্র ধরেই প্রতিবছর বান্দরবান জেলায়ও পাহাড়ের বৌদ্ধ বিহারগুলোতে ব্যাপক আয়োজনে দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসব ধর্মীয়ভাবে পালন করে আসছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা।

পূন্যের আশায় এ উৎসবে পাহাড়ের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারীরা মাত্র চব্বিশ ঘন্টায় একদিনের মধ্যে তুলা থেকে বিশেষ কায়দায় বানানো চরকায় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সুতা তৈরি করে। আর নতুন সুতায় রং লাগিয়ে কাপড় বুনে সেলাই বিহীন চীবর (কাপড়) তৈরি করে বৌদ্ধ ধমর্মীয় গুরু ভান্তে ভিক্ষুদের পরিধানের জন্য। চব্বিশ ঘন্টায় তৈরি করা চীবর কাপড় উৎসবের পরেরদিন বিহারের ধর্মীয় গুরু ভিক্ষুদের মাঝে দানের কঠিন এ ব্রতের নামই হচ্ছে কঠিন চীবর দানোৎসব।

Exit mobile version