পিসিপি’র নতুন সভাপতি বিপুল চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক সুনয়ন চাকমা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর ২৪তম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে।

শুক্রবার(২ নভেম্বর) ঢাকার পল্টনে মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে পুরো দিনব্যাপী কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।

কাউন্সিলে বিপুল চাকমাকে সভাপতি ও সুনয়ন চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক এবং অমল ত্রিপুরাকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়।

কাউন্সিলে বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতির উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, শাসকগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণকে নিষ্ঠুরভাবে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। নিপীড়নের হাত থেকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহও বাদ যাচ্ছে না।

নির্বাচনকে সামনে রেখে শাসকগোষ্ঠী, একের পর এক অপতৎপরতা, দমনপীড়ন জনগণকে হয়রানি করা হচ্ছে। সম্প্রতি রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে অন্যায়ভাবে অনেককেই আটক-নির্যাতন করা হয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে দমিয়ে রাখার জন্য শাসকগোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের ন্যায্য অধিকারের আন্দোলন নস্যাৎ করার জন্য  শাসকগোষ্ঠী দালালদের ব্যবহার করছে। রক্ত পিপাসু খুনি সন্ত্রাসীদের দিয়ে ইউপিডিএফ এর সংগঠক মিঠুন চাকমা, অনল বিকাশ চাকমা, সুনীল বিকাশ ত্রিপুরাসহ সর্বশেষ স্বনির্ভরে  পিসিপি নেতা তপন , এল্টন ও যুব নেতা পলাশ চাকমাসহ ৭ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করা সম্ভব হলেও জনগণের প্রতিরোধে এই নীল নক্সা কখনো সফল হবে না বলে বক্তারা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

খুন গুম করে অধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে পিসিপিকে এক কদমও সরানো যাবে না মন্তব্য করে বক্তারা  বলেন, তপন-এল্টন-পলাশদের হত্যা করা সম্ভব হলেও পিসিপি’র লড়াই কখনো থামাতে পারবে না শাসকগোষ্ঠী ও তার দালালরা। বরং এ ধরণের হত্যাকাণ্ডের ফলে পিসিপি নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ ও প্রতিরোধের অদম্য স্পৃহাকে আরো বৃদ্ধি করেছে, তাতে কোন সন্দেহ নেই। ন্যায়ের জন্য যে কোনো বীরত্বপূর্ণ আত্মবলিদান মানুষের ক্ষোভ ও চেতনার মশালকে উদ্দীপ্ত করে, তপন-এল্টনদের আত্মহুতিতেও তার ব্যতিক্রম হয় নি।

ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, শাসকগোষ্ঠী ও তার দালালদের ছাত্র সমাজকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে অব্যাহতভাবে। কারণ তারা জানে ছাত্র সমাজকে বিভক্ত করতে পারলে তাদের হীন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সহজ হয়। এই ষড়যন্ত্র রুখতে বর্তমান ছাত্র সমাজের  ঐক্যবদ্ধ হওয়া অত্যান্ত জরুরী। তাই সমস্ত সংকীর্ণতা ঝেরে ফেলে ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, রুখে দাঁড়াতে হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে।

কাউন্সিলের শেষের দিকে সবার সম্মতিক্রমে নতুন কমিটি গঠিত হয়। কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ করান বিদায়ী কমিটির সভাপতি বিনয়ন চাকমা। শপথের পর পরই  দাপ্তরিক ফাইল হস্তান্তরের মাধ্যমে বিদায়ী কমিটির সভপতি বিনয়ন চাকমা নতুন কমিটির সভাপতিকে দায়িত্ব বুঝে দেন এবং নতুন কমিটির সকলের সাথে করমর্দনের মাধ্যমে নতুন কমিটির সদস্যদের অভিনন্দন জানান। আর নতুন কমিটির সভাপতিও বিদায়ী কমিটির সভাপতি বিনয়ন চাকমাকে ফুল দিয়ে বিদায় জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন