পুলিশ সংস্কারে সহযোগিতার আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়ার
বাংলাদেশ পুলিশে সংস্কার চায় যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া। দীর্ঘমেয়াদী জনকল্যাণে পুলিশসহ সব বেসামরিক নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সংস্কারকে জরুরি হিসেবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। অস্ট্রেলিয়াও এই সংস্কারকাজে সরকারকে সহযোগিতা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বুধবার বিকালে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফ্যাভ ও অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) নারদিয়া সিম্পসন সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে উভয় কূটনীতিকই পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সংস্কারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেন। এছাড়া বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও কৃষি খাতে সহযোগিতা, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনসহ নানা বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফ্যাভ বলেন, আমেরিকান দূতাবাসসহ দূতাবাস পাড়ার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সংস্কার জরুরি।
হেলেন লাফ্যাভ বলেন, বাংলাদেশের ৯টি সরকারি দপ্তরের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। তারা এ ক্ষেত্রে উপকরণ সরবরাহসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
পুলিশের সংস্কারে সহায়তার প্রস্তাব অস্ট্রেলিয়ারও। বিকালে পৃথকভাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) নারদিয়া সিম্পসন। এ সময় সন্ত্রাস দমন, মানবপাচার প্রতিরোধ, পুলিশ সংস্কার, বন্যা-পরবর্তী কৃষি পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
নারদিয়া সিম্পসন বলেন, বাংলাদেশের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘদিনের অংশীদার। বন্যা পুনর্বাসনে আমরা ব্র্যাককে প্রয়োজনীয় তহবিল দিয়েছি।
অস্ট্রেলীয় হাই কমিশনার বলেন, পুলিশ সংস্কারের অংশ হিসেবে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা দিতে আমরা প্রস্তুত। অস্ট্রেলিয়া সাইবার সিকিউরিটি, ইমিগ্রেশন সেক্টরে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি ও আনুষঙ্গিক সহায়তা দিতে রাজি আছে। অস্ট্রেলিয়া আশা করে, মানবাধিকার সুরক্ষায় বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।