চেয়েছিলেন চলতি মাসে মেয়ের বিবাহ দেবেন। কিন্ত পেঁয়াজের দাম শুনে বিবাহ তারিখ পিছিয়েছেন রাঙ্গামাটি কাপ্তাই উপজেলার নুর হোসেন নামে একজন শ্রমজীবী। তিনি বলেন, বর্তমানে বিবাহসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে পেঁয়াজের গুরুত্ব অনেক বেশি। যার ফলে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মেয়ের বিয়ে পিছানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে সারা দেশের মতো রাঙ্গামাটি বাজারেও হু হু করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। দাম বৃদ্ধির কারণে রাঙ্গামাটি জেলার স্থানীয় বাজার গুলোতে পেঁয়াজের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে বাজার গুলো প্রায় পেঁয়াজ শূন্য হয়ে পড়েছে। হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির ফলে সকল শ্রেণির মানুষের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রাঙ্গামাটি শহরের বনরূপা বাজারে বেশ কয়েজন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে রাঙ্গামাটিতে পেঁয়াজের কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন হোটেল ব্যবসায়ীরা আগে ২০ থেকে ৩০ কেজি পেঁয়াজ ক্রয় করলেও বর্তমানে তারা ৪ থেকে ৫ কেজি পেঁয়াজ ক্রয় করছেন এবং সাধারণ ক্রেতারা কেউ ১টি আবার কেউ কেউ ২ থেকে ৩টি করে পেঁয়াজ ক্রয় করছেন। তাও আবার মিশর দেশ থেকে আমদানি করা বড় বড় পেঁয়াজ।
তাঁরা আরও বলেন, চটগ্রাম খাতুনগঞ্জের আড়তে পাইকারি পেঁয়াজের প্রতি ২০০ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর প্রভাব রাঙ্গামাটিতেও পড়বে। এর কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন,ব্যবসায়ীদের বেশি সুযোগ সুবিধা দেয়ায় এবং প্রশাসনের মনিটরিং না থাকায় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে বলে তারা জানান।
বেশ কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভাই পেঁয়াজের দাম কি কমবেনা। যা অবস্থা চলছে পেঁয়াজের ঝাঁজেও চোখে জল এখন দামেও জল। এই নিত্যপ্রয়োজনী দ্রব্য কিনতে গেলেও এর দাম দেখে দুই থেকে একটি পেঁয়াজ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। তারা আরও বলেন, রাঙ্গামাটিতে প্রতিদিনই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। বাজারে গেলেও খুচরা দোকানিরা যে যার মতন করেই পেঁয়াজের দাম নিচ্ছে। দাম কমাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ক্রেতারা।
রাঙ্গামাটি জেলা বাজার কর্মকর্তা এমদাদ উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, পেঁয়াজ আমদানি কম থাকায় দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব হোম দাশ বলেন, আগেও পেঁয়াজের দাম নিয়ে ভ্র্যাম্যমান অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
