পেকুয়ায় পাকা ধান কাটতে দিচ্ছে না দুর্বৃত্তরা, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা 

fec-image

পেকুয়ায়  ক্রয়কৃত জমিতে  রোপিত পাকা ধান কাটতে দিচ্ছে না স্থানীয়  প্রভাবশালী  দুর্বৃত্তরা। এ নিয়ে  দুই পক্ষের মধ্যে  রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংস্কা দেখা দিয়েছে।

জানা যায়,  শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সকাল  ৮টায় উপজেলার  টৈটং ইউনিয়নের  মিত্যান্ত গুনা  এলাকায়  এ ঘটনা  ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,  বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি  ইউনিয়নের  নুরা বাপেৱ  পাড়াৱ  মৃত  আলহাজ্ব  সাহেব মিয়ার পুত্র  নুরুল আলম  প্রকাশ (বাদশা) টৈটং মৌজার বি এস ১০২, ৫২৫, ৭১৭, ৭১৮ নং খতিয়ানের ওয়ারিশ হতে ৮৪ শতক জমি ক্রয় করে।

ক্রয়কৃত জমির নামজারী ও জমাভাগ খতিয়ান সৃজিত হয় যার নং ১৮৩৯। ক্রয় করার পর থেকে সে ভোগ দখলে রয়েছে। দীর্ঘদিনেৱ ভোগ দখলীয় জমিতে ধান রোপন করে।  ধান পাকলে টৈটং ইউনিয়নের  মিত্যান্ত গুনা  এলাকার   চিহ্নিত ডাকাত  এলাকার প্রভাবশালী মৃত আব্দুল হকের পুত্র  জাফর আলম, মৃত  ফজল করিম এর পুত্র শামসুল আলমসহ  সঙ্ঘবদ্ধ  দুর্বৃত্তরা রোপিত পাকা ধান  কাটতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে।

জমির মালিক নুরুল আলম  এ প্রতিবেদককে জানান, আমার দখলীয় জমিতে আমি ধান চাষ করি। পাকা ধান কাটতে চাইলে সন্ত্রাসীরা আমার কাছ থেকে  এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ধান কাটতে দিবে না এবং আমার ঘর বাড়ি পুড়িয়ে দেবে আমিও আমার পরিবারকে  হত্যা করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। আমিও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ ব্যাপারে নুরুল আলম বাদী হয়ে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পেকুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পেকুয়া থানার ওসি অভিযোগ আমলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখে এস আই ছিদ্দিক কে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেন।

এদিকে অভিযুক্ত জাফরের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ নানা ধরণের অপরাধের দায়ে থানা ও কোর্টে মামলা রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। অভিযুক্ত জাফরের সাথে কথা হলে তিনি জানান, চাঁদার বিষয়টি সত্য নই। উক্ত জমিতে সে চাষ করেনি।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি সাইফুর রহমান মজুমদার অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা জানিয়ে বলেন দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: পেকুয়া, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন