parbattanews

পেকুয়ার উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া সড়ক যেন মাদকের নিরাপদ রুট!

কক্সবাজারের পেকুয়ার উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া সড়ক যেন মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য নিরাপদ রুটে পরিণত হয়েছে। পাচারকৃত ইয়াবা, গাজা, আইসসহ ভয়ংকর মাদক মিয়ানমার হতে নদী পথে পেকুয়ার উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া জেটি ঘাট, রূপালি বাজার পয়েন্ট, সৈকত বাজার পয়েন্ট, মগনামা স্টিমারঘাটে খালাস হয়ে সড়ক পথে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

জানা গেছে, প্রতিদিন ভোরে ও সন্ধ্যার দিকে মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে করে এসব মাদকদ্রব্য পাচার হচ্ছে। উজানটিয়া করিমদাদ চৌধুরী সড়কে প্রতিদিন সকাল ৯টার আগে ও বিকাল ৪টার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কিছু স্থানীয় লোক ও অপরিচিত মোটরসাইকেল এবং মাইক্রোবাস দেখা যায়। বেশির ভাগই ১৮ বছরের উপরে ৩০ বছরে নিচে যুবকরা এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার খবর মিলছে।

সম্প্রতি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও গাজা ধরা পড়লেও বিগত গত ছয় মাসে স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উল্লেখযোগ্য কোন অভিযান দেখা যায়নি। আর এতে করে বলা চলে মোটামুটি নিরাপদেই মাদক কারবারি চালিয়ে যাচ্ছেন একটি মহল। সন্ধ্যা নামলেই পেকুয়ার বিভিন্ন পয়েন্ট, হাট-বাজার পাড়া-মহল্লায় চলে মাদক সেবন ও বসে জুয়ার আসর। এদিকে গত ২৮ আগস্ট জুয়া খেলার বিষয় নিয়ে আব্দুল মালেক নামে একজন খুন হয়েছেন। ঝগড়া মারামারি হয়েছে দুইশতাধিক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন সচেতন এলাকাবাসী জানিয়েছেন, উজানটিয়া ঘাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন অপরিচিত লোক এসে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক পাচার করে। এছাড়া একাধিক জায়গায় গাজা ও ইয়াবা বিক্রি হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের নজরে দিয়েছি তবে এখনও কোন অভিযান দেখছি না।

উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল করিম বলেন, ‌‘উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া ঘাট ও মগনাম স্টিমারঘাট মাদক পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহার করছে। উঠতি বয়সের ছেলেরা এসব কাজে জড়িত। আমি কয়েকবার প্রশাসনকে জানিয়েছি।’

এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের যে কেউ তথ্য দিলে আমরা অভিযান করব। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে আমরা অটল। কোথায় জুয়া হয় আমাদের তথ্য দিন আমরা অভিযান করব।’

Exit mobile version