পেকুয়ায় অনাবৃষ্টিতে আমন ধান ও সবজি চাষে অনিশ্চয়তা, সেচে বড় বাধা লোডশেডিং

fec-image

অনাবৃষ্টিতে ফসলের মাঠ পুড়ছে। টানা তিন সপ্তাহ বৃষ্টি না হওয়ায় মাটি ফেটে চৌচির হয়েছে। বিদ্যুতের অভাব ও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে সেচ কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি দিতে না পারায় ধানের চারা মরে যাচ্ছে। বিশেষ করে রোপা আমনের আবাদ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক জমিতে ধানের চারা রোপণ করা হয়নি। আবার রোপণ করা চারা পানির অভাবে মরে যাচ্ছে। তাই অগ্রহায়ণের ফসল নিয়ে চাষিরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। শ্রাবণ শেষে ভাদ্রের শুরুতে বৃষ্টির দেখা নেই। ঋতুচক্র অনুযায়ী বর্ষার পর আমনের আবাদ শুরু হয়। সাধারণত এ সময় ঘনঘন বৃষ্টি হওয়ায় পানির অভাব খুব একটা হয় না। কোনো কোনো জমিতে পানি সেচের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু তিন সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টি না হওয়ায় এবং লোডশেডিংয়ের কারণে সেচকাজ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় রোপা আমনের খেত নষ্ট হচ্ছে। অনাবৃষ্টিতে কক্সবাজারের পেকুয়ার ২১ হাজার একর জমির আমন ধানের চাষ ও সবজি চাষ অনিশ্চয়তায় পড়েছে।

টইটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ির কৃষক জয়নাল আবেদীন জানান, এবার আল্লাহ জানে ধান পায় কিনা। তবে ধানের চারায় দিতে পারছি না পানি। সেচ দিতে গেলে পানিগুলো লবণাক্ত আবার তেলের দামও চড়া। কোন দিকে যাবো। ধান ক্ষেত এখন রৌদে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।

কৃষক আবুল হোসেন জানান, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের খালে লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়ায় সেচ দিয়ে চাষাবাদ করা যাচ্ছে না।

পেকুয়া সদর ইউপির ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য আবু ছালেক জানান, খাদে জমে থাকা পানি দিয়ে আমরা আপাতত আমন চাষের চেষ্টা করছি।

নন্দীর পাড়ার নুন্যামুনিয়া বিলে অনেক কৃষক শ্যালো মেশিন বসিয়ে জমিতে পানি সেচ দিচ্ছেন। বৃষ্টি না হলে জমি শুকিয়ে যাবে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার সাত ইউনিয়নে ২০ হাজার ৮৩৪ একর বা ৮৪০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ ও ৮০৭ একর বা ৩৭৫ হেক্টর জমিতে বর্ষাকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার তপন কুমার রায় জানান, লবণাক্ত পানি থেকে আমন ধানের চারা রক্ষা করতে রাবার ড্রাম আপ করতে বলা হয়েছে এবং মিটা পানির সেচ দিয়ে হলেও যাতে ধান হয় সেজন্য কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন