পেকুয়ায় অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রী ৩ মাসেও উদ্ধার হয়নি

fec-image

পেকুয়ায় অপহৃত সেই মাদ্রাসা ছাত্রী শফিকাতু নাঈমা রুপা (১৪)কে এখনো উদ্ধার করা যায়নি। প্রায় তিন মাস আগে মাদ্রাসার ৯ম শ্রেনীর ওই ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে। ভিকটিমের মা আয়েশা ছিদ্দিকা সন্তানকে উদ্ধার ও পর্যাপ্ত আইনগত সহায়তা চেয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশি অভিযোগ পৌঁছান। আদালত ওই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভিকটিম উদ্ধারসহ তদন্ততীয় প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য ওসি পেকুয়া থানাকে আদেশ দেন। পেকুয়া থানা পুলিশ অভিযানও পরিচালনা করে।

তবে এ সংক্রান্ত বিষয়ে আদালত তিন দফা আদেশ দিয়েছেন। ১ম দফায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভিকটিম উদ্ধারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ওসিকে আদেশ দেন। পরবর্তীতে আরও দু’বার আদেশ দিয়েছেন জুুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ হাকিম। তিন দিনের মধ্যে ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য পৃথক দু’দফা আদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে তিন দফা আদালতের আদেশ বিলম্ব হওয়ার পরও এখনো ভিকটিম শফিকাতু নাঈমা রুপাকে উদ্ধার করা যায়নি।

আদালতের আদেশ পেয়ে পেকুয়া থানার ওসি এর তদন্তভার অর্পন করেন পেকুয়া থানার এসআই সঞ্জিত চন্দ্র নাথকে। ভিকটিম উদ্ধার ও আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশ সম্ভাব্য স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন মামলার তদন্তকারী অফিসার আদালতে প্রেরণ করেন। প্রতিবেদনে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন অপহৃত ছাত্রী শফিকাতু নাঈমা রুপাকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ অত্যন্ত আন্তরিক। তবে মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চলমান থাকলেও এখনো সফলতা পাওয়া যায়নি।

সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২৪ জুন মাদ্রাসা ছাত্রী শফিকাতু নাঈমা রুপা অপহৃত হয়েছে। এ ঘটনায় রুপার মা আয়েশা ছিদ্দিকা বাদী হয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৬ সেপ্টেম্বর নালিশি অভিযোগ দায়ের করে। ছাত্রী অপহরণের অভিযোগে ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। শফিকাতু নাঈমা রুপার বাড়ি উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পূর্ব সোনাইছড়ি রমিজপাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম ডা. শফিকুর রহমান। মেয়েটি বারবাকিয়া মৌলভীবাজার ফারুকীয়া মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী। রুপার সৎমা সাজেদা বেগমকে ১নং আসামি করা হয়।

মামলার আর্জি সূত্রে জানায়, ১নং আসামীর প্ররোচনায় অপর ৫ আসামি মিলে রুপাকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে। শফিকুর রহমান একজন সুশিক্ষিত ব্যক্তি। দ্বিতীয় স্ত্রী সাজেদা বেগম ও শফিকুর রহমানের মধ্যে বনিবনা চলছিল। অনেক দিন আগে থেকে এ পরিবারটির বড় ধরনের ক্ষতি করতে প্রচেষ্টা করছিলেন ওই নারী। শত্রুতার বশীভূত হয়ে সতিনের মেয়েকে অপহরণ করেছে বলে রুপার মা আয়েশা ছিদ্দিকার দাবি।

পেকুয়া থানার ওসি সাইফুর রহমান জানান আমি যোগদান করেছি কিছুদিন আগে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিবো।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অপহৃত, পেকুয়ায়, মাদ্রাসা ছাত্রী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন