পেকুয়ায় ইয়াবাসহ এক যুবক আটক
কক্সবাজারের পেকুয়ায় ১৮২০ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক যুবককে আটক করেছে পেকুয়া থানা পুলিশ।
১৭জুন রাত পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের বারাইয়াকাঁটা স্টেশনের সামনে থেকে ইয়াবাসহ শাহেদুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেফতার করে। শাহেদ টেকনাফ উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকার ফোরকানের পুত্র।
জানা যায়, সাহেদ সন্ধ্যা ৬টার দিকে বারাইয়াকাঁটা এলাকার ছব্বির আহমদের পুত্র জয়নাল আবেদীনের বাড়ি থেকে জয়নাল, সাহেদ এক সাথে বের হয়, প্রথমে জয়নাল একটি রিক্সা নিয়ে এবিসি সড়কের দিকে চলে যায়, সাহেদ যাওয়ার জন্য হাতে একটি শোপিং ব্যাগ নিয়ে আর একটি রিক্সাকে দাঁড়াতে বলে। এসময় তাকে দেখে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে সন্দেহ হলে, চার দিক থেকে মানুষ এসে ভিড় জমায়, উপস্থিত লোকজন তাকে ব্যাগ খুলে দেখাতে বললে সে দেখায় এবং বলে যে কাল টেপ মুড়ানো যে বান্ডিলটি আছে এগুলো ইয়াবা
ট্যাবলেট। এই খবর পেয়ে জয়নালসহ সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সদস্য মুহাম্মদ ফোরকান পেকুয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা কানন সরকারকে মোবাইলে জানালে, তিনি পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনা স্থল থেকে ইয়াবা সহ শাহেদকে গ্রেফতার করে।
সাহেদ জানিয়েছেন, তিনি জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী জুলেখা বেগমের দূরসম্পর্কের ভাগীনা। গত তিন দিন আগে টেকনাফ থেকে ইয়াবা নিয়ে জয়নালের বাড়িতে উঠেছেন। এখান থেকে জয়নাল মিলে ইয়াবা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। জয়নাল সহ তাদের একটি সিন্ডিকেট আছে বলে্ও জানান।
৩ মাস আগে জয়নাল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ইয়াবা বিক্রির অভিযোগে পেকুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে ওসি মহোদয় হাতেনাতে ধরার পরামর্শ দেন। এরপর থেকে নজর রাখতে থাকেন, কখন জয়নাল সিন্ডিকেট ইয়াবা নিয়ে আসেন। কালকেই তাদের সিন্ডিকেটের হাতেনাতে ধরেন।
উপজেলা যুবলীগের সদস্য ফোরকান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সূত্রে জানা যায়, সে শ্বশুর বাড়ি টেকনাফ হওয়ায়, সেখান থেকে ইয়াবা এনে পাইকারিহারে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। কয়েক বছর আগে জয়নাল দম্পতি ইয়াবা নিয়ে জেল খেটে এসেছে। জয়নালের ছোট বোনের জামাই শিলখালী ইউনিয়নের আলেকদিয়া পাড়ার গিয়াস উদ্দীন ইয়াবা নিয়ে পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয়ে সদ্য জেল খেটে এসেছে। তাকে এলাকায় ইয়াবা জয়নাল হিসাবে জানে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে পেকুয়া থানার তদন্ত ওসি কানন সরকার বলেন,”আমরা ইয়াবা সহ একজনকে গ্রেফতার করেছি, আর অন্য কেউ থাকেও ছাড় দেওয়া হবে না। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করা আছে”।