parbattanews

পেকুয়ায় উদ্ধার হওয়া সেই গলাকাটা লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে


পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় উদ্ধার হওয়া সেই গলাকাটা লাশটি পরিচয় পেয়েছে পুলিশ। সেই লাশটি পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ মানিকের বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর লাশ উদ্ধারের ৩ দিনের মাথায় লাশটি পরিচয় পাওয়া যায়। শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ১.৩০টায় উজানটিয়া ইউনিয়নের সুতাচুরা ঠান্ডারপাড়া এলাকার মোক্তার আহমদের স্ত্রী জিগারা বেগম থানায় এসে নিশ্চিত করেছেন উদ্ধার হওয়া গলাকাটা এ লাশটি তার ছেলে মানিকের। লাশের পরিচয় পাওয়ার খবর জানাজানি হলে পেকুয়ায় সর্বত্রে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ওই দিন ওসির কক্ষে ওই হতভাগা মহিলা উপস্থিতি হয়ে তার ছেলে নিখোঁজ ও লাশ উদ্ধারের বিবরণ দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

জিগারা বেগম পুলিশকে জানায়, উদ্ধার হওয়া লাশটি আমার ছেলে মানিকের। কেন তাকে এ ভাবে নির্মম ও নিষ্টুরভাবে খুন করা হয়েছে এ সম্পর্কে কোন বক্তব্য দিতে পারেননি এ হতভাগা জিগারা বেগম।

জানা গেছে, চলতি বছরের ঈদুল ফিতরের কয়েকদিন পর থেকে নিখোঁজ হন   মানিক। তার আনুমানিক বয়স ১৪ বছর। সে উজানটিয়া ইউনিয়নের সুতাচুরা এলাকার মোক্তার আহমদেও পুত্র। মানিক পেকুয়া সদর ইউনিয়নের জালিয়াখালী এলাকায় তার খালার বাড়িতে থাকতেন। সেখানে খালুর সাথে মাছ শিকারের কাজ করতেন। বাড়ি থেকে আসার ১৫ দিন পর থেকে মানিক নিখোঁজ হন। গত ২৬ অক্টোবর বারবাকিয়া ইউনিয়নের বারাইয়াকাটা ধানক্ষেত থেকে দুপুরে পেকুয়া থানা পুলিশ গলাকাটা এ লাশ উদ্ধার করে। ওই দিন এক যুবক ধানক্ষেত পরিস্কার করতে গিয়ে সেখানে মস্তক বিহীন লাশটি জমিতে দেখতে পান। পরে সে স্থানীয়দেরকে বিষয়টি জানালে স্থাণীয়রা গিয়ে খোঁজাখোজি কওে সামান্য দুরের ধানক্ষেত থেকে মস্তক উদ্ধার করে। ওই দিন সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। জানা গেছে, লাশটি সমাহিত করা হয়েছে। সনাক্ত না হওয়ায় সেটিকে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনজুর কাদের মজুমদার জানায়, লাশটি ছেলের বলে দাবী করছে ওই মহিলা। বিষয়টি অধিক নিশ্চিত করতে কক্সবাজার পাঠানো হয়েছে। ক্লু উদঘাটনের কাজ করছে পুলিশ। এখনও লিখিত এজাহার পাওয়া যায়নি।

Exit mobile version