পেকুয়ায় কৃষকের বসতবাড়ির উপর হামলা, পুকুরের মাছ লুটের অভিযোগ

fec-image

পেকুয়ায় এক কৃষকের বসতবাড়ির উপর হামলা পুকুরের মাছ লুট করার ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (১০ জুলাই) সকাল ৯ টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের হরিনাফাঁডি এলাকার মৃত বজল আহমদের পুত্র নাছির উদ্দিনের বসতবাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় এজাহার দায়ের করে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, পেকুয়া মাতবরপাড়া এলাকার মৃত বজলুল করিমের পুত্র আরিফুল ইসলাম গং এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।

এর জেরধরে ঘটনার দিন নাছিরউদ্দিন রেনাটা লিমিটেড কোম্পানির জমির লাগিয়তের টাকা দিতে চট্টগ্রামের অফিসে যায়। সে বাড়ীতে না থাকার সুযোগ নিয়ে ওইদিন সকাল ৯ টায় পেকুয়া মাতবরপাড়া এলাকার মৃত বজলুল করিমের পুত্র আরিফুল ইসলাম, হরিনাফাঁডি এলাকার মৃত বজল আহমদের পুত্র বেলাল উদ্দিন, লাল মিয়ার পুত্র নুর মোহাম্মদ,শেখের কিল্লা ঘোনার হনু মিয়ার পুত্র জিয়াবুল হকসহ ৫০/৬০ জন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তার বসতবাড়ীতে হামলা চালায়।

ঘরের বেডা ভাংচুর করে প্রায় লক্ষাধিক টাকার আসবাবপত্র এবং পুকুরে চাষ করা বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাছ ও অর্ধলক্ষাধিক টাকার চিকন পাতা গাছ লুট করে।

এতে নাছিরের স্ত্রী আয়েশা বেগম, ছেলেমেয়েরা তাদের কে বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে মারধর করে গুরুতর আহত করে।

এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে।আহতদেরকে স্থানীয় চিকিৎসক থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে।

এজাহারে বাদি আরো উল্লেখ করেছি আরিফুল ইসলাম জমিজমার বিরোধকে পুঁজি করে আমাকে ও আমার পরিবারকে মারধরসহ কারণে অকারণে নানা ধরণের নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি একইভাবে আমার অনুপস্থিতিতে আরিফুল ইসলাম গং লোকজন নিয়ে আমার বসতভিটায় অনাধিকার প্রবেশ করতঃ আমার গোয়ালঘরে আগুন দিয়া পুড়িয়ে ও গেরাবেড়া ভাংচুর করে।

বিবাদীগণ পথে-ঘাটে আমাকে একা পেলে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টাসহ মারধর করে আসছে। বিষয়টি এলাকার সকলই অবগত আছে এবং ঘর পুডা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়। এ নিয়ে বিবাদীদের বিরোদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে যা চলমান রয়েছে।

এদিকে বাদি নাছির উদ্দীন বলেন, আমি বাংলাদেশ দণ্ডবিধি আইনের ১৮৮ ধারা মোতাবেক আশ্রয় গ্রহণ করলে বিজ্ঞ আদালত গত ১০/২/২০ ইং তারিখের আবেদনের প্রেক্ষিতে নালিশি জমিতে প্রবেশ না করার জন্য বিবাদীকে আদেশ জারী করে আদালত।

তা অমান্য করে বার বার ঘটনা করে যাচ্ছে। আমার প্রতিপক্ষ আরিফুল ইসলামের বিরোদ্ধে এ ঘটনা নিয়ে মামলা মোকদ্দমা করলে শান্তিতে বসবাস করতে দিবে না এবং প্রাণে মেরে ফেলার প্রকাশ্য হুমকি দিচ্ছে।

আমি ও আমার পরিবার আজ অসহায়। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি। এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম জানান একটি অভিযোগ পেয়েছি খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কৃষক, পেকুয়া, মাছ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন