parbattanews

পেকুয়ায় জমি বিরোধের জেরে এক ভাইকে বিষ পানে মেরে ফেলার অভিযোগ

কক্সবাজারের পেকুয়ায় বসতভিটার জায়গা নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে সংঘর্ষ হওয়ার ঘটনা ঘটে। এনিয়ে আবু তাহের (৩৭) নামের এক যুবককে বিষ পান করিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১ আগস্ট) দুপুর ৩ টায় মগনামা ইউনিয়নের মরিচ্যাদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সে ওই এলাকার মৃত রজল মিয়ার ছেলে । পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে।

নিহত আবু তাহেরের বড় ভাই আবুল বশরের স্ত্রী নাছিমা আক্তার বলেন, বসতবাড়ির জায়গার বিরোধ নিয়ে আবু তাহেরের ঘর থেকে তার বউ ও সন্তানকে বের করে দেয় তারা। তারপর আবু ছিদ্দিক ওই ঘরে ডুকে যায়। ঘটনার দিন আবু তাহের বাড়িতে আসলে তার ভাই, আবু তৈয়ব, আবু ছিদ্দিক, কামাল হোসেন, আবু ছিদ্দিকের শ্যালক জুনাইদ, জাহাঙ্গীর, আবু ছিদ্দিকের বউ কুলসুমা, তৈয়বের বউ রুবি আকতার তাকে ধরে মারধর করার সময়ে সে মুমূর্ষু হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। তখন তাকে তারা পানি পান করিয়ে দিচ্ছে দেখলাম। আসলে এগুলো পানির নামে বিষ পান করিয়ে দিয়েছে। পরে তারা তাকে ফেলে চলে যায় তার ছোট ভাই তাকে নিয়ে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে ডাক্তাররা আবু তাহের বিষ খেয়েছে বলে জানান। কিছুক্ষণ পর তাকে মৃত ঘোষণা করে। থানায় এখনো একটি অভিযোগের বিচারাধীন আছে। আমি এ পরিকল্পিত হত্যার বিচার দাবি করছি।

এদিকে এ বিষয়ে মগনামা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান বদিউল আলম বলেন, সম্প্রতি সাত ভাইয়ের মধ্যে বসতভিটার জায়গা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। চার ভাই বসতভিটার কবলাদার। তিন ভাই দীর্ঘ সময় ধরে ভিন্ন এলাকায় বসবাস করে। কয়েকদিন আগে ছিদ্দিক আহমদ স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আবু তাহেরের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এ সময় তারা আবু তাহেরকে সপরিবারে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলে তিনি শ্বশুর বাড়ির এক স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। ১ আগস্ট (সোমবার) তিনি বাড়িতে আসলে ছিদ্দিক আহমদের সাথে বাকবিতণ্ডতা হয়।

এ বিষয়ে মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইউনুস চৌধুরী বলেন, বসতভিটার জায়গা নিয়ে বজল মিয়ার তিন ছেলের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালতে বিচারও ছিল। একটি মামলা জনিত কারণে আমি কয়েকদিন ঢাকায় ছিলাম। আবু তৈয়ব, ছিদ্দিক আহমদ ও আবু তাহেরের মধ্য বসতভিটার জায়গা নিয়ে মূলত দ্বন্দ্ব। কয়েকদিন আগে ভাইদের মধ্যে ঝগড়াও হয়। পরে তারা বিষয়টি নিয়ে থানা পর্যন্ত গড়ায়। শুনেছি অপমানে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে আবু তাহের।

নিহতের স্ত্রী খদিজা বেগম জানায়, আমাদেরকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে আবু ছিদ্দিক তার পরিবার নিয়ে ওই ঘরে থাকে। আমার স্বামীকে আবু তৈয়ব, আবু ছিদ্দিক, কামাল হোসেন, আবু ছিদ্দিকের শ্যালক জুনাইদ, জাহাঙ্গীর, আবু ছিদ্দিকের বউ কুলসুমা, তৈয়বের বউ রুবি আকতার, লেদু মারধর করে মেরে ফেলছে। কিন্তু তারা হত্যার ঘটনাকে আড়াল করতে আমার স্বামীকে বিষ পান করিয়ে দিয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফরহাদ আলী বলেন, হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। প্রতিবেদন হাতে পেলে জানা যাবে মৃত্যুর রহস্য।

Exit mobile version