parbattanews

পেকুয়ায় তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণ, ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া প্রভাবশালীরা

চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের পেকুয়ায় ৩ বছরের এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত ইয়াছিন নামের এক লম্পটকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রভাবশালীরা। এ কারণে ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গেলেও থানায় মামলা হয়নি। ধর্ষিতা শিশুটিকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযুক্ত ইয়াছিন পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের কাচারীমুড়া গ্রামের আবদুল মোনাফের ছেলে।

পুলিশ জানায়, শিশু ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর ধর্ষিতার পরিবার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মো. মতিউল ইসলাম, পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনজুর কাদের মজুমদার।

পরিবার সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, পুলিশ যখন ঘটনা তদন্ত করতে যায়, সেসময় পুলিশের সঙ্গে সার্বক্ষণিক অবস্থান করছিল ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ইয়াছিনের এক নিকটাত্মীয়। তিনি পুলিশকে ম্যানেজ এবং প্রভাব খাটিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এমনকি বিভিন্ন মাধ্যমে চাপ দিচ্ছেন থানায় এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ বা মামলা না করতে। অভিযোগ দিলেও কিছুই করতে পারবে না বলেও হুমকি দিচ্ছেন ওই প্রভাবশালী।

শিশুর মা ও সিএনজি অটোরিক্সা চালক বাবা অভিযোগ করেছেন, গত শুক্রবার দুপুরে তাদের তিন বছরের কন্যা শিশুকে ফুসলিয়ে ইয়াছিন তাদের রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটি চিৎকার দিলে দৌঁড়ে যায় মা। এই অবস্থায় ধর্ষক ইয়াছিন রান্নাঘর থেকে পালিয়ে যায়। পরে ইয়াছিনের নিকটাত্মীয়রা টাকা দিয়ে তাদের ম্যানেজেরও চেষ্টা চালায়।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, রোববার রাতে শিশুটির পরিবার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করেছি আমরা। এ সময় থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি পরিবার সদস্যদের। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে।

Exit mobile version