parbattanews

পেকুয়ায় দেড় হাজার একর জমিতে চাষাবাদ অনিশ্চিত

ছবি: রাবাম ড্যামের ছিদ্র অংশ

কক্সবাজারের পেকুয়ায় সোনাইছড়ি রাবার ড্যামের রাবারে শত শত ছিদ্র সৃষ্টি হওয়ায় দেড় হাজার একর জমিতে বোরো ধান চাষ অনিশ্চিতের মুখে পড়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় কৃষকরা দুরচিন্তায় দিন পার করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, টৈটং ইউনিয়নের নাপিতখালীর দক্ষিণপাড়া ও বারবাকিয়া ইউনিয়নের রাহাত আলী পাড়ার মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া টৈটং খালের উপর সোনাইছড়ি রাবার ড্যাম প্রকল্প। এ রাবার ড্যামের উত্তর অংশের অন্তত তিনফুট রাবার ছিঁড়ে গেছে। পাশে ছোট-বড় অন্তত দেড় শতাধিক ছিদ্র।

রাবার ড্যামের পাহারাদার আমান উল­াহ বলেন, রাবারের ব্যাগ ছিঁড়ে যাওয়ায় ও ছিদ্র হওয়ায় ব্যাগ ফুলানো যায় না। ব্যাগ ফুলালে আধাঘণ্টার মধ্যে বাতাস চলে যায়।

স্থানীয়রা বলেন, সোনাইছড়ি রাবার ড্যাম প্রকল্পের মাধ্যমে বারবাকিয়া ইউনিয়নের নয়াকাটা, নোয়াখালীপাড়া, রাহাত আলীপাড়া, সবজীবনপাড়া, মৌলভীবাজার পাড়া, টৈটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি, নাপিতখালী, বটতলী, মৌলভীপাড়া, টৈটং বাজারপাড়া এলাকার অন্তত ১ হাজার ৬৫০ একর জমির বোরো মৌসুমের ধান চাষ নিশ্চিত হয়।

টৈটং এ ৩০ একর জমিতে ধান চাষ করেন হিরাবনিয়া এলাকার নূরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‌‘২০১০ সালের আগে মাটির ক্রস বাঁধ দিয়ে অন্তত আড়াই হাজার একর জমির বোরোর আবাদ নিশ্চিত হতো। রাবার ড্যাম হওয়ার পর প্রকল্প এলাকার দুই হাজার ৩৩৫ একর জমিতে চাষাবাদ হতো। সেচ নালা না থাকায় ও খাল খনন না হওয়ায় বর্তমানে ড্যামের সুবিধা নিয়ে এক হাজার ৬৫০ একর জমিতে চাষ হয়। এখন ড্যামের রাবার ছিঁড়ে যাওয়ায় ও ছিদ্র হওয়ায় চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে গেছে।’

Exit mobile version