parbattanews

পেকুয়ায় প্রবাহমান খাল বন্ধ করে বাঁধ নির্মাণ!

পেকুয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের পেকুয়ায় প্রবাহমান খালে বাঁধ নির্মাণ করে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে এক প্রভাবশালী মহল। খালের পানি ব্যবহারে বঞ্চিত হচ্ছে ৫ গ্রামের মানুষ। ফলে বুরো চাষ খালে বাঁধ দেওয়ায় অনিশ্চিয়তা পড়েছে।

উপজেলার টইটং ইউনিয়ের বিশাল জনগোষ্ঠির অতিপ্রয়োজনী বাঁশখালী সীমান্ত নুনাছড়ি খাল। ব্যাক্তি স্বার্থের জন্য ওই খালের উপর অবৈধ বাঁধ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা এর প্রতিকার চেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইউপি সদস্যকে অবগত করেন। স্থানীয় ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য টিপু সোলতান গণ্যমান্য লোকজন নিয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। পরে ওই প্রবাহ নুনাছড়ি খালে মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ না করতে নিষেধ করেন ইটভাটার মালিককে। এর পরও ওই প্রভাবশালী ইটভাটার মালিক কোনো তোয়াক্কা না করে বাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন।

এলাকাবসী জানান, এলাকার কিছু প্রভাবশালী দালালদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করে।

স্থানীয়দের মধ্যে সেলিমুল আহসান চৌধুরী জানান, চলিত বুরো মৌসুমে বাঁধটির কারণে পাহাড়ী পানি নেমে খালের পার্শ্ববর্তী সোনাইয়াকাটা, পন্ডিত পাড়া, নিতান্তঘোনা, হাজির পাড়াসহ ৫/৬টি গ্রামে বড়ধরনের প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। একইসাথে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হলে ৫ শতাধিক একর কৃষি জমির চারা গাছ নষ্ট হয়ে যাবে। যার ফলে এবারের মতো বুরো চাষ সম্পূর্ণ অনিশ্চিয়তায়।

এ বিষয়ে ইটভাটার মালিক আহমদ নবী বাঁধ নির্মাণের কথা স্বীকার করে বলেন, ইটভাটায় মাটি আনার জন্য আমি বাঁধটি নির্মাণ করেছি। কয়েক দিন পর বাঁধটি খোলে দেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে টইটং ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌং জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। বাঁধ নির্মাণ না করতে বাঁধা দিয়েছিলাম। পানি চলাচলের জন্য বাঁধের নিচে নাঁশি স্থাপন করা হয়েছে।

Exit mobile version