parbattanews

পেকুয়ায় বজ্রপাতে সিএনজি চালকের ‍মৃত্যু

পেকুয়ায় বজ্রপাতে এক সিএনজি চালকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, গত শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের আলিমের ঝিরি নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম নেজাম উদ্দিন (৩০)। তিনি ওই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।

নিহতের স্বজনরা জানান, শনিবার রাতে মেঘের গর্জনের সাথে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে সিএনজি চালাক নেজাম তার গাড়ি রেখে বাড়িতে চলে আসে। এসময় ঘরের চালা থেকে মাকে বৃষ্টির পানি নিতে দেখে তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে যায়। এসময় হঠাৎ বিকট শব্দে বজ্রপাত হয়। এতে নেজাম ও তার মা ছেনু আরা বেগম এবং ছোটভাই রিয়াজ উদ্দিন সহ তিনজনই বেহুশ হয়ে যান। এঘটনার কিছুক্ষণ পরে মা ও ভাই সুস্থ হয়ে উঠলেও নেজামের জ্ঞান আর ফেরেনি।

নিহত নেজাম উদ্দিনের মা ছেনু আরা বেগম কান্নজড়িত কন্ঠে বলেন, “টিউবঅয়েলের পানি আনতে অনেক দূরে যেতে হয় তাই ঘরের চালা থেকে বৃষ্টি পানি নিচ্ছিলাম। এসময় আমার ছেলে নেজাম বাহির থেকে এসে আমাকে পানি নিতে দেখে ‘মা আমি নিয়ে দেই’ বলে এগিয়ে আসে। এসময় বিকট একটি শব্দ হয়। তারপর কি হয়েছে আমি কিছুই জানিনা। আমার ছেলে বিয়ে করেছে ৭—৮ মাস হয়েছে মাত্র। তার স্ত্রীও অন্তসত্তা। এখন মেয়েটির কি হবে আমি জানিনা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে টইটং ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মনজুুর আলম জানান, “নেজাম উদ্দিন পেশায় একজন সিএনজি চালক। সে সারাদিন সিএনজি চালিয়ে রাত ৯ টার কিছু আগে ঘরে ফেরে। এসময় বৃষ্টি বাদল শুরু হয়। তার মা ও ভাই সহ ঘরের চালা থেকে বৃষ্টির পানি নিতে গিয়ে প্রচন্ড শব্দের বজ্রপাতে তারা ৩ জনেই জ্ঞানশুন্য হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে নেজাম ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যায়।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: মাঈন উদ্দিন জানান,“বজ্রপাতে মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ বজ্রপাতে মৃত্যুর বিষয়টি বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তাকে ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফনে অনুমুতি দিয়েছে।”

Exit mobile version